লিটন সরকার রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
ভারতীয় সীমান্তঘেষা রৌমারী উপজেলায় ৫ দিন ধরে সূর্য়ে দেখা মেলেনি । তীব্র শীতে
জনজীবন বিপর্যস্ত কয়েকদিনের টানা ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীতে অতিষ্ঠ
জনজীবন। সারাদেশের ন্যায় রৌমারী শীতের তীব্রতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। একদিকে ব্রম্মপুত্র উপকুলিয় চরাঞ্চল অপরদিকে ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা পাহাড়ী অঞ্চল হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা অনেক বেশী। এতে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় খেটে খাওয়া দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধা ও প্রতিবন্ধী মানুষ। এছাড়া শীতকালীন নান প্রকার রোগ প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এবারের শীতে সরকারি ভাবে শীতবস্ত্র বরাদ্দ অপ্রতুল। রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ পর্যন্ত ৩৪০ টি কম্বল পেয়েছি। এদিয়ে কিছুই হয়নি। আমি জেলা প্রশাসকের কাছে যোড় দাবী জানাচ্ছি আমাদের জনগনের জন্য বেশি করে কম্বল দেওয়া হোক। উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামছুদ্দিন বলেন, এবারের শীতের শুরুতে কিছু কম্বল ছিলো ৬টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। বরাদ্দের জন্য চাহিদা দেয়া হয়েছে। এবিষয় রৌমারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, এবছর যে সমস্ত কম্বল এসেছিল তা ইউপি চেয়ারম্যানদের দেওয়া হয়েছে। তবে শীত বেড়ে যাওয়ায় আরও কম্বল এর চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এবিষয় রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী বলেন, তীব্র শীতে কাপছে রৌমারী সীমান্ত এলাকার মানুষ। চাহিদা অনুযায়ী অসহায় মানুষকে শীতের গরম কাপড় দিতে পারিনি। তবে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।