লিটন সরকার,রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারীর চাক্তাবাড়ী কান্দাপাড়া গ্রামে ছেলের বউকে ধর্ষণের অভিযোগে শশুরকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার অপর আসামী শাশুড়ি রওসান আরা বেগম পলাতক রয়েছে।
বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় রৌমারী বাজার থেকে আটক করা হয়। ভুক্তভোগী বলেন, ৭ বছর আগে হযরত আলীর ছেলে আব্দুর রশিদের সাথে আমার বিবাহ হওয়ার পর থেকে আমার সংসার সুন্দর ছিলাম।
গত ২ বছর আগে আমার স্বামী মালয়েশিয়া যায়। এর পর থেকেই আমার শশুর বিভিন্ন সময় আমার উপর খারাপ নজরে তাকাতো। আমি আমার ঘরে একা ঘুমায়ে ছিলাম।
গভীর রাতে গোয়াল ঘরের দরজা দিয়ে রুমে গিয়ে ঘুমন্তবস্থায় আপত্তিকর স্থানে হাত দেয়। ঘুমভেঙ্গে গেলে দেখতে পাই আমার শশুর। ধাক্কাধাক্কির পর্যায়ে চিৎকার করার চেষ্টা করলে আমার মুখে গামছা দিয়ে চেপে ধরে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে।
পরে একথা কাউকে বললে হত্যা করাসহ বিভিন্ন ভয় দেখায়। পরে নেক্কারজনখ ঘটনার কথা আমার স্বামীকে জানাইলে তার মাকে বলতে বলে। তখন শাশুড়িকে জানালে তিনি স্বামীকে শাসন করার কথা বলে তিনিও এঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য বলে এবং ভয় দেখাই। এমন জঘন্নতম ঘটনায় শশুর শাসন না পাওয়ায় আমাকে আবারও পরপর ২ দিন ধর্ষণ করা হয়েছে।
পরে আমি ৩ মাসের অন্তঃসত্বা হলে শাশুড়ি রওসান আরা আমাকে বিভিন্ন গাছ গাছড়ার ঔষধ খাওয়াই আমার অন্তঃসত্বা নষ্ট করে দেয়া হয়। আমি গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আমার বাবা ময়মনসিংহ চরপাড়া ফাতিহা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা করান।
উল্লেখ্য যে এ ঘটনায় মহর আলী বাদী হয়ে শরীয়ত ও সামাজিক ভাবে শালিশী বৈঠকের জন্য চাক্তাবাড়ি স্বরলিপি যুব সংঘের সভাপতি পল্লী চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, (মাষ্টার) রফিকুল , নুর-ইসলাম, সৃজন মন্ডল ও আব্দুল কাইয়ুমকে বিচার দেন। সভাপতি আমিনুল ইসলাম বিবাদির সাথে আতাত করে বাদিনীকে স্বামী আব্দুর রশিদ আলমকে স্ব-ইচ্ছায় ডিভোর্স পত্রে সহি প্রদান করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা রফাদফায় বুঝিয়া লইয়া অভিযোগ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত দেন। এমন নেক্কারজনক ঘটনার ভুক্তভোগী ক্লাবের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাক্ষাণ করে ধর্ষকের শাস্তির দাবীতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রৌমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
রৌমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় রৌমারী বাজারস্থ্য ইসলামী ব্যাংকের পাশের্ব শাহ আলমের চায়ের দোকান থেকে হযরত আলীকে আটক করা হয়। পরে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।