রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম জেলা রৌমারীর পিআইও মেশকাতুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সাংবাদিকগণ প্রকল্পের তালিকা চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে দরখাস্ত দিলেও দুর্নীতি ঢাকতে প্রকল্পের তালিকা দিতে টালবাহানা। প্রকল্পের রস চুষে নিয়ে অবশেষে বদলী। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রকল্পের তালিকা চাইলে তিনিও দেই দিবো বলে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। এমন সভাবে সাংবাদিকগণ ক্ষোভ
প্রকাশ করেছে।রৌমারী উপজেলায় গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণা বেক্ষণ কর্মসূচীর মধ্যে মক্তব, মাদ্রাসা, আসবাব পত্র, রাস্তা
ঘাট, মাঠে মাটি ভরাটসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য সরকার কাবিটা, কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের বরাদ্দ দিয়ে থাকে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সভাপতি ইউপি সদস্য, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বা পছন্দনীয় একজন থাকেন। কোথাও কাজ হয়েছে নামে মাত্র। কোথাও কিছু কাজ হয়েছে মঙ্গার শ্রমীক দিয়ে। কাজ করতে গরিমশি হলেও বরাদ্দের অর্থ উত্তোলনে আত্মসাৎ করতে ভুল হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, প্রকল্প
সভাপতি ও এমপির প্রতিনিধির যোগসাজসে কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেশকাতুর রহমানের নিকট ২০২২ ও ২০২৩
অর্থ বছরে ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়, যথাক্রমে কাবিটা, কাবিখা ও টিআর প্রকল্প গুলির তালিকা চেয়ে ফরম ’ক’ তথ্য প্রাপ্তির আবেদনপত্র দেয়া হয়েছে। আবেদনের ২ (দুই) মাস অতিবাহিত হলেও তালিকা না দিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি ঢাকতে বিভিন্ন টালবাহানা করে যাচ্ছেন তিনি। এদিকে সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রকল্প
বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেশকাতুর রহমান রৌমারী কর্মস্থল থেকে অন্যত্র বদলী হলেও ২ মাস বিভিন্ন অজুহাতে না গিয়ে, প্রকল্প সভাপতিদের নিকট ৩০% প্রকল্পের রস চুষে নিয়ে রৌমারী কর্মস্থল ছেড়ে গেলেন। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খানের নিকটও প্রকল্পের তালিকা বারবার চেয়েও দেই দিচ্ছি বলে
দিন পার করছেন। তিনিও গত ২৭ সেপ্টেম্বর রৌমারী উপজেলা কর্মস্থল থেকে উলিপুর উপজেলা কর্মস্থলে বদলী
হয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনিও রয়েছেন রৌমারী উপজেলা কর্মস্থলে।সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক জুনের মধ্যেই সকল প্রকল্পের কাজ শেষ করেই বিল উত্তোলন করার কথা থাকলেও,
জুনের আগে কাজ শেষ না করে, প্রকল্পের অর্থ বাস্তবায়ন অফিস একাউন্ট হিসাব নম্বরে ব্যাংকে বিডি করে রাখা হয়। জুনের ৪ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো অনেক প্রকল্পের টাকা দিতে দেখা গেছে। এ জন্য কমিশন দিতে হয়েছে ৩০%। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রকল্প সভাপতিদের অভিযোগে এসব দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত কিছু কিছু প্রকল্পের অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত
দেওয়া হয়েছে এবং কিছু কিছু প্রকল্পের সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রীয়াধীন রয়েছে বলেও সূত্রে জানা
গেছে। রৌমারী উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ণে ব্যাপক অনিয়মের বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিশকাতুর রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরেজমিন তথ্য সঠিক হয়ে নিউজ দেন সমস্যা
নেই। রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি জানি কাজ হওয়ার পর অর্থ ছাড় দেয়া হয়। তবে এবিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।