লিটন সরকার রৌমারী (কুড়িগ্রাম )প্রতিনিধি:
প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে প্রাণী সম্পদ চিকিৎসকদের প্রত্যায়নপত্র ছাড়াই লাম্পিং স্কিন ভাইরাস রোগে আক্রান্ত গরুর পচা মাংস আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। সোমবার দুপুরের দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের টাপুরচর বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। জানা যায় দীর্ঘদিন যাবৎ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাংস বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম অসুস্থ্য গরু স্বল্পদামে ক্রয় করে টাপুরচর বাজার সংলগ্ন বটতলা মোড় এলাকায় অপরিচ্ছন্নতা জায়গায় গরু জবাই করে বাজারে বিক্রি করে আসছিল। ঘটনার দিন শহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন মিলে লাম্পিং স্কিন ভাইরাস রোগে আক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করছিল। এসময় স্থানীয় জনতা পচা মাংসের বিষয়টি জানতে পারেন এবং উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান এর নির্দেশে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও বন্দবেড় ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজব আলী ঘটনাস্থানে যান এবং প্রায় ৩৫ কেজি পচা মাংস আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলমসহ এলাকাবাসি উপস্থিত ছিলেন।
মাংস বিক্রেতা (কসাই) শহিদুল ইসলাম এর মোবাইল নম্বরে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেন,কিন্তু কথা বলেন না।
বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল কাদের সরকার বলেন, গরুটি রোগে আক্রান্ত ছিল না। তবে মাংসগুলো ফ্রিজে রাখার কারনে রং নষ্ট হয়েছে। পরে আগুনে পুড়ে ফেলা হয়েছে।
প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান জানান, পচা মাংসগুলো পোড়ানো হয়েছে এবং প্রাথমিক ভাবে ওই মাংস বিক্রেতাকে সতর্ক করা হয়েছ। যাতে সে আর কোন দিন এরকম অপরাধ না করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, পচা মাংসগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং মাংস বিক্রেতাকে সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে কোন অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।