লিটন সরকার,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের দক্ষিণ খনজনমারা গ্রামের মৃত মাহাতাফ আলীর মেয়ে মোছাঃ হাজরা খাতুন (৬৫)। ৫ বছর পূর্বে স্বামী মারা যায়। পরে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে হাজরার জীবন যাপন করেন স্বামীর বাড়িতেই। স্বামীর মৃত্যুর পর হাজরা অসুস্থ হলে স্বামীর বাড়িতে আশ্রয় না পেয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। ভাইদের সহায়তায় কোন মতে একটি দো-চালা ঘরে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতে থাকেন তিনি। বর্তমানে সংসারের অভাব অনাটন লেগেই আছে। এত সব দুঃখ দুর্দশায় পাশে দাড়ায়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি কোন সংস্থা। পাশাপাশি অর্থের অভাবে তার ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক বা বিধবা ভাতা। ফলে খেয়ে না খেয়ে ধারদেনা করে কোনমতে চলছে তার সংসার।
একদিকে অভাব, অপর দিকে লাজ-লজ্জায় পাশের কোন বাড়িতে যেতে পারে না একমুঠো খাবারের জন্য। সমাজের বিত্তশালী কোন ব্যক্তি মানবতায় এগিয়ে আসেনি। শুধু মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে চলে যায় তাদের দিন। সরকারি সহায়তা হিসেবে ভিজিডি, কর্মসৃজন কর্মসূচী (মঙ্গা) সহ কোন তালিকায় নাম উঠেনি হাজরার।
বাবার সম্পত্তি থেকে প্রায় ৯ শতক জমির অংশ পান তিনি। সেই জমিতে ছোট একটি টিনশেড ঘর তৈরি করে থাকার ব্যবস্থা করেছেন। সেটাও ভেঙ্গে জড়াজিন্ন অবস্থা। বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের জানান, ওই অসহায় হাজরার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে একাধীক বার বয়স্ক ও বিধবা ভাতার নামের জন্য গেলেও তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।