রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
রৌমারীতে জমি বন্ধক ও চাকুরির কথা বলে ১৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল আউয়াল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুর ১২ টায় সাংবাদিকদের কাছে এক লিখিত অভিযোগ দেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, যাদুরচর ইউনিয়নের বিক্রিবিল গ্রামের মৃত হাসেন ফকিরের ছেলে আব্দুল আউয়াল এঘটনা ঘটায়।
অভিযোগে জানা যায়, যাদুরচর ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামের মৃত্যু আনছের আলীর পুত্র এমদাদুল হক (৪০)। পাশ্ববর্তী গ্রামের তাওয়াতো ভাই আব্দুল আউয়াল।
গত ১১ অক্টোবর ২৩ সালে আব্দুল আউয়ালের ছেলে হারুন অর রশিদ ধনারচর গ্রামের নওয়াব আলীর বাড়ির সামনে ডিসি রাস্তায় মটর সাইকেল দুর্ঘনায় আমির নামের এক ব্যক্তি মারা যান। মৃত ব্যক্তির জরিমানা স্বরুপ ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ধার নেন ইমদাদের কাছ থেকে।
এরপর আউয়ালের জমি বন্ধক দেয়ার কথা বলে ৫ লক্ষ, ছেলের চাকুরি বাবদ ২ লক্ষ ৭০ হাজার ও চাকুরির লিখিত পরিক্ষায় পাশ করায় টাকা কম পড়লে আউয়াল আবারও ৩ লক্ষ টাকা নেন।
এভাবে পর্যায় ক্রমে জমি বন্ধক দেয়া ও এমদাদের ছেলে রোমান হাসান রনিকে চাকুরি দেয়ার কথা বলে ১৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। বর্তমানে এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান বিবাদি।
তবে পর্র্যায় ক্রমে ১৩ লক্ষ টাকা লেনদেনের ভিডিও চিত্র প্রমান স্বরুপ রয়েছে।
অভিযোগে আরোও জানা গেছে, জমি বন্ধক নামা ও ছেলের চাকুরির জন্য দেয়া পাওনা টাকা চাইতে গেলে নানা টালবাহানা ও ভুক্তভোগী এমদাদকে হুমকি ধামকি প্রদান করেন।
এ লেনদেনের অর্থ ধামাচাপা দিতে উল্টো সাংবাদিকদের ভুল তথ্যদিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সমাজে হেয় প্রতিপন্য করার উদ্দ্যেশ্যে এমন ঘটনা ঘাটায়। অপর দিকে আমার বিরুদ্ধে পাওনা টাকাকে ধামাচাপা দিতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে রৌমারী থানা ও কুড়িগ্রাম আদালতে একটি ৭ ধারা মামালা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী এমদাদ প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন দাবী করে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। এব্যাপারে বিবাদি আব্দুল আউয়ালের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহিত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।