রৌমারীতে চোরাই গরু জবাই করার অভিযোগ গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 3 days ago

লিটন সরকার,রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ভোররাতে একটি চোরাই ষাড় গরু জবাই করার অভিযোগ উঠেছে গ্রাম পুলিশ আলিমুদ্দিন (কসাই) এর বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার দিনগত রাতে উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের মিয়ারচর গ্রামে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন, হাবিবুর রহমান হবি ও সবুজ মিয়াসহ অনেকেই।

স্থানীয়রা জানান, মিয়ারচর গ্রামের বাবলু মিয়ার বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে গভীর রাতে দরজার বাধন কেটে একটি ষাড় গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। যার বিক্রিত মুল ছিল ৮১ হাজার টাকা। চুরি হওয়া গরুটি খোজাখুজির একপর্যায় চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার) আলিমুদ্দিন কসাই ওই গরুটি জবাই করেছে বলে জানতে পারেন। পরে গ্রামের লোকজনসহ চরশৌলমারী বাজারে গিয়ে নিশ্চিত হয় তার চুরি হওয়া গরুটি ভোররাতেই জবাই করেছে গ্রাম পুলিশ ওরফে কসাই আলিমুদ্দিন।

গরুর মালিক বাবলু মিয়া বলেন, আমার গরুটি এক ব্যাপারীর কাছে ৮১ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। বিক্রিত গরুটি পরের দিন আমার বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া কথা ছিল ব্যাপারীর। ভোররাতে গোয়াল ঘরে গরুগুলো দেখতে যাই। পরে দেখি বিক্রিত গরুটি ঘরে নেই। বিভিন্ন এলাকায় খোজ করে জানতে পারি যে, কসাই আলিমুদ্দিন আমার গরুটি চুরি করে নিয়ে জবাই করেছে।

গ্রাম পুলিশ আলিমুদ্দিন জানান, আমি গরুটি চিলমারী থেকে কিনে আনছি।

পরে সেটা জবাই করে মাংস বিক্রি করেছি চরশৌলমারী ইউপি সদস্য আজিজ মিয়া গরু চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রাম পুলিশ গরুটি চুরি করে জবাই করেছে এবং পরবর্তীতে বৈঠকের মাধ্যমে সমপরিমাণ টাকা জরিমানা দিয়েছে।

চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান একেএইচএম সাইদুর রহমান দুলাল চুরির ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যানকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। সত্য প্রমাণিত হলে অবশ্যই গ্রাম পুলিশ আলিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সুপারিশ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজি আনিসুল ইসলাম জানান, এখনও কেউ আমাকে জানায়নি। তবে বিষয়টি আমি এখনই খোজখবর নিচ্ছি।

error: Content is protected !!