রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের চররাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী কালাইয়েরচর সীমান্তে স্থাপিত বর্ডার
হাট কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়। হাটে নতুন বিক্রেতা নিয়োগের
গণবিজ্ঞপ্তিতে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে হাট সংশ্লিদের বিরুদ্ধে। এ অনিয়মের
অভিযোগে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ ১৩ জনকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
ব্যারিস্টার আব্দুল বাতেন শেখ, এডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর স্বাক্ষরিত ৮
অক্টোবর রবিবার লিগ্যাল এ নোটিশের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পক্ষে সচিব বানিজ্য মন্ত্রনালয়, সিনিয়র সচিব
বানিজ্যি মন্ত্রনালয়, অতিরিক্ত সচিব এফটি এ উইং বানিজ্য মন্ত্রনালয়, যুগ্ন সচিব
এফটি এ-১ বানিজ্য মন্ত্রনালয়, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট,
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কুড়িগ্রাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবপুর,
অফিসার ইনচার্জ রাজিবপুর থানা, সুপারিনটেনডেন্ট কাষ্টমস কুড়িগ্রাম, বিওপি
কমান্ডার ৩৫ বিজিবি জামালপুর, চেয়ারম্যান রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদে লিগ্যাল নোটিশ
প্রেরণ করেন।
রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনের
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যারিস্টার আব্দুল বাতেন শেখের স্বাক্ষরিত লিগ্যাল নোটিশ শনিবার (১৪
অক্টোবর) এলাকায় জানাজানি হয়। বর্ডার হাট পরিচালনা কমিটির নামে বিভিন্ন অভিযোগ
সংবলিত নোটিশ নিয়ে এলাকায় লোকজনের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, সীমান্তবর্তী ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের উন্নয়ন বঞ্চিত পিছেপড়া
জনসাধারণের কেনাকাটা করার জন্য এই বর্ডার হাট। দুই দেশের সীমানার জিরো লাইন থেকে
৭৫মিটার ৭৫ মিটার জায়গায় ৫০টি কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে ২৫ জন করে উভয় দেশের ৫০ জন
বিক্রেতার জন্য। এক্ষেত্রে ভারতের ক্রেতা ৩৯১ জন এবং বাংলাদেশের ক্রেতা ৫৮৭ জন।
উল্লেখ্য যে, বর্ডার হাটের আকার-আয়তন নির্ধারিত এবং ক্রেতা-বিক্রেতাও নির্ধারিত। হাটের
আকার-আয়তন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা যেমন দোকানঘর, স্যানিটেশন, হাটে অনুমোদনহীন
প্রবেশ ইত্যাতি নিয়ন্ত্রণ না করে শুধু বিক্রেতা বৃদ্ধি করা হলে হাটে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে ও
নিরাপত্তা রক্ষা করা কঠিন হবে। ২০২৩ সালের ১৬ জুলাই তারিখে উক্ত বালিয়ামারী কালাইয়েরচর
বর্ডার হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, কুড়িগ্রাম খন্দকার
মুদাচ্ছির বিন আলী স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করেন যে, ২৫ জন বিক্রেতা নিয়োগ দেওয়া
হবে এবং তিনি গণবিজ্ঞপ্তিতে হাট পরিচালনা কমিটির কত তারিখের সভায় এবং কি
প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিক্রেতা নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ল তাহা কিছুই উল্লেখ ছিল না।
এবং অজানা কারনে বিক্রেতা সিলেকশন প্রক্রিয়ায় লটারীর অপশন তুলে দিলেন বা রাখলেন না এবং এ
পর্যায়ে আবেদন ৬০৭ জন বিক্রেতা। এ কারণে বিগত ১৬ জুলাই ২০২৩ তারিখের গনবিজ্ঞপ্তির
মাধ্যমে বিক্রেতা বৃদ্ধির নিয়োগ কার্যক্রম আগামী সাত দিনের মধ্যে বন্ধের অনুরোধ জানানো
হয়েছে এ লিগ্যাল নোটিশে।
উল্লেখ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চর রাজিবপুর গত ৪ মার্চ ২০২০ সালে এমন গণবিজ্ঞপ্তি
প্রকাশের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল বর্ডার হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত
মোতাবেক। উক্ত হাটে ২৫ জন বিক্রেতা নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে কি প্রয়োজনে
নিয়োগ দেয়া হবে তাহা উল্লেখ না করেই লটারির মাধ্যমে বিক্রেতা নির্বাচন করা হবে এবং এ
পর্যায়ে মোট ১৫৭৫ জন বিক্রেতা হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। উক্ত নিয়োগটি দেয়ার জন্য ৬
জনের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ দেয়ার ঘটনায়, সেদিনেও এমন নিয়োগটি বন্ধ হয়ে যায়। তাতে
এলাকার হতদরীদ্র লোকজন বিক্রেতা নিয়োগে আবেদনের জন্য অর্থনৈতিক ক্ষতিসহ হয়রানির
শিকার হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ নতুন বিক্রেতা বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ
প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।