লিটন সরকার রৌমারী (কুড়িগ্ৰাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলায় অটোবাইক ছিনতাই করে এনামুল হক (৫০) নামের এক চালক হত্যার ঘটনায় আবু হানিফ (৬৮) ও ফারুক শেখ (৫৫) নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে রাজিবপুর থানা পুলিশ।
মরদেহ উদ্ধারের ১৬ দিন পর বুধবার নরসিংদী ও টঙ্গি স্টেশন রোড থেকে তাদের করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার বিষ্ণপুর স্বর্ণকারপাড়া এলাকার মৃত শুক্কুর মুন্সির ছেলে আবু হানিফ ও রাজবাড়ি জেলা সদরের গঙ্গাপ্রাসাদপুর এলাকার মৃত রিয়াজ শেখের ছেলে ফারুক শেখ বলে জানা গেছে।বৃহস্পতিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে।
রাজিবপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান পিপিএম এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানান যে, ইজিবাইক ছিনতাই করে চালক এনামুল হক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রৌমারী ও রাজিবপুর সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টের সিসিটিভি ফুটেজ নিবিড় পর্যালোচনা করা হয়। আটোবাইকে থাকা দুই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ছবি সংগ্রহ করা হয়। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শনাক্তকরণসহ অবস্থান নির্ণয় করে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, নরসিংদী ও রাজবাড়ি জেলায় অভিযান চালায় রাজিবপুর থানা পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের ১৬ দিন পর বুধবার নরসিংদী থেকে আবু হনিফ ও টঙ্গি স্টেশন রোড থেকে ফারুক শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে ছিনতাই হওয়া অটোবাইক (গাড়িটি) দেওয়ানগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান গ্ৰেফাতার হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় ছিনতাই চুরিসহ চেতনানাশক বিষ প্রয়োগের অসংখ্য মামলা রয়েছে। এছাড়াও আন্তঃজেলা অটোবাইক ছিনতাই চক্রের সক্রিয় সদস্য তারা।প্রসঙ্গত, গত ২৯ জানুয়ারি (সোমবার) সকাল ৮টার দিকে রৌমারী উপজেলা সদর ইউনিয়নের মধ্য ইছাকুড়ি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অটোবাইক নিয়ে বের হন চালক এনামুল হক। ওইদিন রাতে ফেরার কথা থাকলেও আর বাড়িতে ফিরেননি তিনি। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাননি স্বজনরা। পরে ৩০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধুলাউড়ি স্লুইসগেট নামক এলাকায় একটি ধান ক্ষেতে ওই চালকের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে রাজিবপুর ফায়ার সার্ভিসের দল।
এ ঘটনায় ওইদিনই রাজিবপুর থানায় একটি অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী আয়েশ খাতুন। নিহত চালক এনামুল হক রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধ্য ইছাকুড়ি গ্রামের মিছির আলীর ছেলে।