আল ইমরান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফের অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে নিয়ম অনুযায়ী তার পদত্যাগ দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র—ছাত্রীরা আন্দোলন করায় তাদের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ ও তার পোষা সন্ত্রাসীরা ভয়ভীতি এমনকি কলেজ থেকে বিতড়িত করা সহ বিভিন্ন ছাত্র ছাত্রীদের বাসায় যেয়ে হুমকি দিতে থাকায় ছাত্র—ছাত্রীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শনিবার (৩১ আগষ্ট) প্রেসক্লাব রাজগঞ্জ স্থায়ী কার্যালয়ে বিকাল ৪.০০ টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন: আমাদের দাবী, দফা এক, দাবী এক প্রিন্সিপালের পদত্যাগ। সেই আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই ফ্যাসিবাদের দোসর লতিফ তার প্রাইভেট স্কুলের কিছু স্টুডেন্টদের দিয়ে রাত্রের বেলাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাসায় যেয়ে হুমকি দেওয়ায়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা খুবই আতংকিত এবং ভীত। বিভিন্ন স্যারের মাধ্যমে ক্লাসে এবং ওই সকল স্যারদের বাসার আশেপাশে যতগুলো ছাত্র ছাত্রী আছে তাদেরকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য এই আন্দোলনে আসতে বাঁধা দেওয়া হয়। সাধারণ শিক্ষার্থিদের কে ভুয়া সেনাবাহিনীর মাধ্যমে দিনে ও রাত্রে ফোন দিয়ে ভয় দেখানো হয়।
বিভিন্ন অঞ্চলের স্থানীয় নেতাদের দিয়ে ওখানকার সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে আন্দোলনে না আসার জন্য ভয় দেখানো হয়। বিভিন্ন মাস্তান ও এলাকার নেতাদের দিয়ে বাসায় চাপ সৃষ্টি করানো হচ্ছে। যার ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাসা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। উদাহরণ : আমাদের সম্বনয়ক কাশফিয়া। এছাড়া অনেকেই বাসা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। আন্দোলন বন্ধ করতে এলাকার পাতি নেতাদের কাছে টাকা বিতরণ করতেছে এই ফ্যাসিবাদের দালাল প্রিন্সিপাল লতিফ। তাছাড়া এই দুর্নীতিবাজ লতিফ টাকা দিয়ে সাইবার কমিটি তৈরি করেছে।
যারা আমাদের আন্দোলন কে প্রশ্ন বিদ্ধ করতে আন্দোলনের বিভিন্ন ভিডিও,পোষ্ট ও বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলের কমেন্টে বিভিন্ন ধরণের অযৌক্তিক কমেন্ট করতেছে। ফেইক একাউন্ট দ্বারা। তার সকল দুর্নীতি, অপকর্ম, ও তার পদ বহল রাখতে বিভিন্ন মহলে তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। কোন ষড়যন্ত্রই শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য আন্দেলনকে ব্যর্থ করতে যথেষ্ট হবে না।
ছাত্রছাত্রীরা আরও বলেন আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে কোন লিখিত ভাবে আশ^াস না পাওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং সেই সাথে কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা দেন।