রাজগঞ্জে সাংবাদিকের  ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি, না দিলে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার হুমকি

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 3 days ago

এম, ওয়াজেদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার:

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে খালিয়া গ্রামে মতিন সরদার এর কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি, চাঁদা না দিলে বেঁধে রাখার হুমকি দিলেন, কথিত ফেসবুকের প্রচারের সাংবাদিক জসিম। জানা যায় মনিরামপুর ঝাপার ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্পের সরকারি বরাদ্দ ১০টি ঘর খালিয়া গ্রামে ১০ ব্যক্তির ঘর দিবেন বলে। ঘর বরাদ্দের ১০ দশ হাজার টাকা করে দেয় ১০ জন গ্রাহক। বরাদ্দকৃত এই ঘরগুলো ঝাপার ইউনিয়নে সরকারি ২২৩ টি ঘর বরাদ্দ হয়।

এরমধ্যে ১,২,৩,৪,৫,৬, ওয়ার্ডে সর্বমোট ১০৫টি ঘর তৈরি করা হয়। বাকি ১১৭টি ঘর মুজিব বর্ষের গৃহহীনদের ঘর তৈরির কারণে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। বরাদ্ধকৃত ১১৭ জন ঘর না পাওয়ার কারণে তারা টাকা ফেরতেট জন্য চাপ সৃষ্টি করে। তবে খালিয়া গ্রামে ১০ ব্যক্তির কাছ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান মন্টু টাকা গুলো বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে আনা হয়। ভুক্তভোগীরা ঘর না পাওয়ার কারণে মতিন সরদার কে চাপ সৃষ্টি করে। তবে মতিন সরদার ১০ ব্যক্তির মধ্যে ৫ ব্যক্তিকে দশ হাজার করে মোট পঞ্চাশ হাজার টাকা ফেরত দেন। বাকী ব্যক্তিকে মতিন সরদার বলেন, আমন ধান উঠলে ওই পাঁচ ব্যক্তিকে দশ হাজার করে পঞ্চাশ হাজার টাকা ফেরত দেবো তবে টাকা পরিষদের চলমান।

এই সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে কথিত ফেসবুক প্রচারের সাংবাদিক জসিম উদ্দিন বেগুনে জলে উঠে। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ফেসবুক প্রচার সাংবাদিক মতিন সরদারের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তবে পাঁচ ব্যক্তির টাকা সময় নেয়ার সত্বেও তিনি অভিনব কায়দায় দুই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে বলেন আমি টাকা আদায় করে দেব।

এদিকে ফেসবুক প্রচারের সাংবাদিক দ্রুত মতিন সরদার কে ঘটনা জিম্মি করে তার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তখন মতিন সরদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তিনি নিজ ফেসবুক আইডিতে সামাজিকের মাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল করেন। এ ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন উঠেছে এই ধুনন্দর কথিত এই ফেসবুকের প্রচার সাংবাদিক এর খুটির জোর কোথায় ?

এ বিষয়ে আব্দুল মতিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়া চলমান রয়েছে ৫ জনের ১০.০০০ করে টাকা ফেরত দিছি বাকি ৫ জনের টাকা এই আমন ধান উঠলে সবাইকে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

এই ঘটনার বিষয় কথিত ফেসবুকের সাংবাদিক জসীমউদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভুক্তভোগীদের কাকা, আমি আদায় করে দেব। তিনি আরো বলেন মতিন সরদার বলেছেন ধান উঠলে টাকা দিয়ে দেব।উগ্রকন্ঠে তিনি বলেন টাকা দিতে যদি বিলম্বিত হয় তাহলে মতিনকে ধরে এনে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে টাকা আদায় করে নেব বলে জানান।

মুঠোফোনে ৯নং ঝাপা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টুর কাছে গনমাধ্যম জানতে চাইলে বলেন বরাদ্দকৃত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়া হয়েছে কিছু সংখ্যক বাকি আছে তবে তা চলমান আছে।

error: Content is protected !!