ডেস্ক রিপোর্ট ঃ
নিখোঁজের ৪ দিন পর হায়দারনগর মাঠের আলু ক্ষেতে মিললো রং মিস্ত্রি জাহাঙ্গীরের অর্ধগলিত লাশ। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে বিষয়টি হত্যা না আত্নহত্যা এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার হরিহর নগর ইউনিয়নের রুপাসপুর গ্রামের নায়েব আলীর পুত্র রং মিস্ত্রী জাহাঙ্গীর আলম (২৮) গত ৩ আগস্ট বিকালে হায়দারনগর মোড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু অধিক রাত হলেও জাহাঙ্গীর আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। ফলে বাড়ির লোকজন ওই রাতে ও পরের দিন বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নিয়েও জাহাঙ্গীরের কোন সন্ধান মিলাতে পারিনি। এমনকি বিভিন্ন ফেসবুক আইডিতেও জাহাঙ্গীরের নিখোঁজের সংবাদটি প্রচার করে নিহতের পরিবার। কোন সন্ধান না পেয়ে মনিরামপুর থানায় নিখোঁজ এর বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আজ ৬ আগস্ট রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নিহত জাহাঙ্গীরের পিতা নায়েব আলী বাড়ি থেকে হায়দার নগর মাঠে তার আলু খেতে যাই। সেখানে যেয়ে ব্যাপক দুর্গন্ধ পায়। এ সময় আশপাশ খোঁজাখুঁজির এক পর্যায় আলু গাছের নীচে ছেলের অর্ধ গলিত লাশটি দেখতে পাই ।এ সময় তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে মনিরামপুর থানা পুলিশকে লাশের বিষয়ে জানাই। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় ঝাঁপা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সঞ্জিত কুমার ও মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মনিরুজ্জামান ও তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। অর্ধ-গলিত লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে নিহতের দাদা আবু তালেব বলেন, জাহাঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় রঙ্গের কাজ করে বেড়ায়। কেউ না কেউ তাকে হত্যা করে আলু গাছের নিচে লুকিয়ে রেখে গেছে। জাহাঙ্গীরের জিনিয়া ও জেরিন নামের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তালেব বলেন, জাহাঙ্গীর একটা ভালো ছেলে। সে রংমিস্ত্রির কাজ করে। আমার জানামতে তার হাতে কারোর কোন শত্রুতা নেই।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় অনেকের সাথে কথা হলে তারা প্রতিনিধিকে বলেন, হায়দার নগর গ্রামটা মাদকের আড্ডায় পরিণত হয়েছে। এ ঘটনার পিছনে মাদকই কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে ঝাঁপা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সঞ্জিত কুমার এর সাথে কথা হলে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, বিষয়টি হত্যা কি আত্মহত্যা তা প্রাথমিকভাবে কোন কিছু ধারণা করা যাচ্ছে না। কারণ লাশটি অর্ধগলিত অবস্থায় রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে সঠিক ঘটনাটি বেরিয়ে আসবে বলে আমি মনে করছি।