স্টাফ রিপোর্টার,রংপুরঃ
পৌষের শেষে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে রংপুরে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরকম আবহাওয়া ধারাবাহিকভাবে থাকলে বীজতলার ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিবিদ রবিউল ইসলাম। তবে এ বিষয় কৃষকদের পরামর্শ কৃষি বিভাগ থেকে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে, বীজতলা নষ্ট হলে বোরোর চারার সংকট দেখা দিতে পারে বলে কৃষকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সরেজমিন দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলার অধিকাংশ চারাই লালচে হলুদ হয়ে গেছে। লালচে হওয়ার পর আস্তে আস্তে পাতার আগা শুকিয়ে যাচ্ছে।রংপুর নগরীর পুর্ব গোপিনাথপুর গ্রামের কৃষক সেলিম বলেন, এক সপ্তাহ আগে যে পাতা কালো ছিল। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে লালচে হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে ধানের চারা বীজতলা থেকে তুলে জমিতে রোপণ করতে পারব কিনা সেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।রংপুর নগরীর নজিরের হাট এলাকার সহিদূল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলা এখনো পুরোপুরি নষ্ট হয়নি। তবে এরকম আবহাওয়া থাকলে বীজতলা নষ্ট হতে বেশিদিন লাগবে না। এরকম আশঙ্কার কথা জানান আরো কয়েকজন কৃষক। কৃষিবিদ মোঃ রবিউল ইসলাম, নিউজ বিডি জার্নালিস্ট ২৪.কমকে জানান, সারাদেশের মতো রংপুরেও কয়েকদিন থেকে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা। এই ঘনকুয়াশার কারণে বীজতলা নষ্ট হয়। কিন্তু এখনও বীজতলা নষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। তবে এরকম আবহাওয়া আর কিছু দিন থাকলে বীজতলা নষ্ট হতে পারে। এজন্য কৃষি অফিস থেকে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি নিয়মিত। সেই সঙ্গে মাঠে মাঠে গিয়ে সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি সে অনুযায়ী কাজ করছেন কৃষকরা।তিনি আরও বলেন, বীজতলা নষ্ট হওয়ার মূল কারণ তীব্র শীত। এজন্য রাতের বেলায় বীজতলায় পানি রাখতে হবে এবং দিনের বেলায় পানিটা সরিয়ে ফেলতে হবে। তাহলে এটি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এসব বোরো ধানের বীজতলা রক্ষার জন্য ইউরিয়া ও জিপসাম সার প্রয়োগের পাশাপাশি প্রতিদিন বীজতলার কুয়াশা ঝেড়ে দিতে হবে। চারাগুলোকে পারলে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।