নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
যশোর মনিরামপুর উপজেলা গভীর নলকূপে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুইদিন পানি সরবরাহ বন্ধ থাকার সুজক নিয়ে স্হানীয় কয়েক জন, নিজের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
স্হানীয় কৃষকেরা জানায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে গভীর নলকূপটির আওতাধীন কৃষক জানায় এটা একটি দুর্ঘটনা, এটা কে পুজি করে দুতিন জন ব্যক্তি সুবিধা লোটার চেষ্টা করছে।তারা নিজেদের পক্ষের কৃষক কে বিভিন্ন প্রলম্ব দেখিয়ে গণমাধ্যম কে ভুল বুঝিয়ে,পারিবারিক কৃষক কে দিয়ে সাক্ষাৎকার দেন এটা সম্পূর্ণ নিজের স্বার্থের জন্য। আনুমানিক দীর্ঘ ৪৪ বছর এই গভীর নলকূপ টির আওতায় চাষাবাদ করে আসছে প্রায় ১২০ জন কৃষক।তখন এই এলাকায় কেও বিদ্যুৎ ও আনতে পারিনি,কিন্তু আজ সেই ঐতিহ্যবাহী গভীর নলকূপ নিয়ে নানা রকমের তালবাহানা করছে একটি চক্র।গভীর নলকূপ টি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুইদিন তিনদিন পানি সরবরাহ করতে পারেনি ফলে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারনে কিছু উচু জমির ফাটল আসে,কিন্তু তাতে আমাদের ধানে তেমন ক্ষতি হয়নি।ধানের যে শুকনো শিশ দেখা যাচ্ছে এটা মাজরা ও গুটি পোকায় কেটেছে,এটা পানি না দেওয়ার কারনে হয়নি।
এ বিষয়ে কাশিমনগর কৃষি অফিসার, মোঃ সিরাজুল জানায় আমি দীর্ঘ ৮ বছর এই এলাকার দ্বায়িত্ব নিয়ে সততার সহিত কৃষকদের সেবা দিয়ে আসছি।আমি থাকা কালিন কখনো এই গভীর নলকূপটির সমস্যা হয়নি,সুনামের সহিত পরিচালনা এসেছেন গভীর নলকূপের মালিক,এছাড়াও অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারনে পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ার কারনে, ডিবটির যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিতে পারে।যে কারনে দুই তিন দিন পানি সরবরাহ দিতে পারেননি গভীর নলকূপের মালিক।আমি নিজে খোজ খবর নিয়েছি, গভীর নলকূপ টি খুব দ্রুতই মেরামত করে তিন চার দিনের মধ্যে পানি সরবরাহ করে।এছাড়াও গভীর নলকূপের মালিক আশপাশের কয়েক টি অগভীর নলকূপে সেচ দেওয়ার জন্য মটর লাগায় গভীর নলকূপের মালিক,কিন্তু লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ার কারনে পানি উঠাতে পারেনি, বলে আমি খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি।
যে কারনে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় কিছু কিছু উচু কৃষি জমিতে ফাটল আসে। কয়েক জন কৃষক ছাড়া আমাকে আর কেও অভিযোগ করেনি।আমি অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে গভীর নলকূপের মালিকের সাথে যোগাযোগ করে, দ্রুত পানি সরবরাহ করতে আদেশ দেই।তিনি অতিদ্রুত সেটা সংস্কার করে, পানি সরবরাহ করে।
এ বিষয়ে কাশিমনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মো: তৌহিদ গণমাধ্যম কে জানায়, গভীর নলকূপ টি দীর্ঘ ৪০/৫০ বছর ধরে সুনামের সহিত পরিচালনা করছেন, কখনো পানির সমস্যা হয়নি,ঐই গভীর নলকূপ টি যখন হয় তখন ঐই এলাকায় বিদ্যুৎ ছিলো না,সোনা ডাঙ্গা থেকে তার টেনে এনে মৃত জয়নাল আবেদীন গভীর নলকূপ টি স্হাপন করেন সেই থেকে এই মাঠ ব্যাপী ইরি ধান চাষ হয়।এই গভীর নলকূপ টির আওতায় প্রায় ৪ শত বিঘা জমি ধান চাষ হত,এখন আশপাশে কয়েক টি গভীর নলকূপ হওয়ার কারনে এখানে কৃষি জমির পরিমান অনেক কম।তবে কয়েক দিন আগে বৈদ্যুতিক লোডশেডিং ও পানির লেয়ার নিচে চলে যাওয়াই, ডিবটির যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেই বলে আমি শুনেছি।
যান্ত্রিক ত্রুটি হতেই পারে এটা একটা দূর্ঘটনা,
আমি শুনেছি তারা তিন চার পরেই আবার পানি সরবরাহ দিয়েছে।ও তারা গভীর নলকূপটির পাসে নতুন করে একটা গভীর নলকূপের বোরিং করবে।আমি আশা করি গভীর নলকূপ নতুন বোরিং হলে পানির কোনো সমস্যা থাকবে না।
এ বিষয়ে ডিব মালিক মশিয়ার রহমান গণমাধ্যম কে জানায়,দীর্ঘ ৪৫ /৫০ বছর গভীর নলকূপ টি সুনামের সহিত পরিচালনা করে আসছি,এবার অতিরিক্ত তাপমাত্রা হওয়ার কারেনে লেয়ার নিচে নেমে গেছে।এবং ইরি মৌসুমের শেষ মুহুর্তে বৈদ্যুতিক লোডশেডিং এর কারনে গভীর নলকূপ টি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় আমি অতি দ্রুত সেটা মেরামত করে পানি সরবরাহ করি।এবং আমি সিধান্ত নিয়েছি আগামী এক মাসের ভেতরে নতুন একটি বোইরিং হাউজিং কোরবো,যেনো লেয়ার নিচে নেমে গেলেও পানির কোনো সমস্যা না হয়।কিন্তু আমাদের এলাকায় এই বিষয়টি নিয়ে একটি চক্র বিভিন্ন কৌশলে নিজেদের স্বার্থে হাসিলের চেষ্টা করছে।
আমার গভীর নলকূপের আওতায় মাত্র ১২০ বিঘা আনুমানিক কৃষি জমি,এখানে যদি নতুন করে অগভীর নলকূপ, ও বৈদ্যুতিক লাইন দেওয়া হয়।আমার গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ বিলের টাকা উঠবে না।আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি,এখানে নতুন করে অগভীর নলকূপের অনুমোদন না দেওয়ার জন্য। আমার ডিবের আওতায় ১২০ জন কৃষকের ভেতর স্হানীয় ইউপি সদস্যের পারিবারিক কৃষক ২০ জনে মিলে জোর পূর্বক অগভীর নলকূপের অনুমোদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাকি ১০০ জন কৃষক কোনো অভিযোগ করেনি।বরং আমার গভীর নলকূপের আওতায় অধীক-অংশ কৃষক এই গভীর নলকূপের বিষয়ে কেনো অভিযোগ দিতে পারবে না।এই প্রথম যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তিন চার দিন একটু সমস্যা হয়েছে।আমি মাঠে অগভীর নলকূপে সেলো মেশিন, ও মটর লাগিয়ে চেষ্টা করেছি পানি সরবরাহ করতে।কিন্তু লেয়ার নিচে চলে যাওয়াই পানি উঠাতে পারিনি।