যশোরে স্যালাইনের তীব্র সংকট, বেশি টাকা দিয়েও মিলছে না স্যালাইন
লেখক:
Rakib hossain প্রকাশ: 1 year ago
মোঃ ওয়াজেদ আলী স্টাফ রিপোর্টার:
যশোরে চাহিদা তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় তীব্র স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ডেঙ্গু ও ডায়রিয়া রোগীরা। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা নরমাল স্যালাইন ঠিকমতো পাচ্ছে না। বাজারে নরমাল স্যালাইন সংকট থাকায় বেশি টাকা দিয়েও মিলছে না এই স্যালাইন। সরেজমিনে যশোরের বিভিন্ন ফার্মেসি ঘুরে দেখা যায়, প্রায় মাস দু’য়েক ধরে যশোরে তীব্র স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। ফার্মেসি মালিকরা জানান, ওষুধ কোম্পানির কাছে স্যালাইন অর্ডার করেও স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছেনা, আবার যা পাওয়া যাচ্ছে সেটিও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সেবিকারা জানান, হাসপাতালে নরমাল স্যালাইনের সরবরাহ নেই। রোগীর স্বজনদের বাইরে থেকে কিনে আনার জন্য লিখে দেওয়া হচ্ছে। জেনারেল হাসপাতালের স্টোর কিপার সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে বর্তমানে এক ব্যাগও নরমাল স্যালাইন নেই। ১২ হাজার স্যালাইন চাহিদা দেয়া হলে গত ১৬ই সেপ্টেম্বর সর্বমোট ১৫’শ নরমাল স্যালাইন ইডিসিএল থেকে বরাদ্দ আসে। চাহিদার তুলনায় এত কম স্যালাইন দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয় তাই হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তিনি আরো জানান অনুদানের স্যালাইন পেয়েছিলেন মাত্র কয়েকশ পিস। যা রোগীদের চিকিৎসার জন্য পরে দেওয়া হয়। হাসপাতাল এখন স্যালাইন শুন্য। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনেরা জানান, হাসপাতালে ২-৩ মাস ধরে স্যালাইনের সংকট চলছে। স্যালাইন সংকট থাকায় রোগীরা ঠিক মতো স্যালাইন পাচ্ছে না। বাজারে সংকট থাকায় অনেক সময় টাকা দিয়েও ফার্মেসিতে মিলছে না নরমাল স্যালাইন। আবার পাওয়া গেলেও দাম নেওয়া হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি। যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট গ্রামের ডেঙ্গু আক্রান্ত এনামুলের স্বজনদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, ডাক্তার বলেছেন আমার রোগির স্যালাইন চলবে। কিন্তু একটার বেশি স্যালাইন দিল না একই প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে একটু পর অন্য লোক দিয়ে আরেকটি স্যালাইন আনতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন দামে কিনতে হচ্ছে স্যালাইন। গায়ে মুল্য ৮৭ টাকা লেখা থাকলেও জায়গা বেঁধে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এ স্যালাইন, যা দেখার কেউ নেই?
ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিস্ট্রি যশোর জেলা শাখার নির্বাহী সদস্য আহসান কবিরে নিপু জানান, চাহিদার তুলনায় নরমাল স্যালাইন উৎপাদন কম হওয়ার কারণে সংকট তৈরি হয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে যার কাছে স্যালাইন আছে সেগুলো যেন ন্যায্য দামে বিক্রি করেন। এরপর যদি কোন অসাধু ব্যবসায়ী বেশি দামে বিক্রি করেন তার শাস্তি হওয়া উচিত। ওষুধ প্রশাসন যশোরের উপ-পরিচালক মহেশ্বর কুমার মন্ডল জানিয়েছেন, সংকটকে পুঁজি করে নরমাল স্যালাইন যাতে বেশি দামে বিক্রি করা না হয় সেদিকে নজরদারি রয়েছে। কোন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বেশি দামে নরমাল স্যালাইন বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।