যশোরে শিমুল গাছে  থোকায় থোকায় ঝুলছে প্রাকৃতিক সুন্দর্যময়ী রঙ্গীন ফুল

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 9 months ago

মোঃ ওয়াজেদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার:

ষড়ঋতুর বাংলায় শীতের জরাজীর্ণতাকে ঝেড়ে অপরূপ রূপে প্রকৃতিকে সাজাতে আসছে ঋতুরাজ বসন্ত। তারই সংকেত দিতে ফুটেছে আগুনরাঙা লাল শিমুল ফুল। বসন্তের শুরুতেই শিমুল ফুলের স্বর্গীয় সৌন্দর্যে নান্দনিক হয়ে উঠেছে প্রকৃতি।
বসন্ত এলেই যেন ভালোবাসার কথা জানান দিতে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে দিয়ে হেসে ওঠে শিমুল ফুল। তাই ঋতু চক্রের আবর্তনে শিমুল ফুল তার মোহনীয় সৌন্দর্য নিয়ে আবারো হাজির হয়েছে প্রকৃতির মাঝে। শিমুল ফুলের লাল আবির বসন্তকে দিয়েছে এক অনন্য মাত্রা। প্রকৃতির এই অপরূপ রঙের সাজ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায় যে কারো।
যশোরে ফাল্গুন মাসে শিমুল গাছে ফুলের দৃশ্য পাখিরা ফুলের মুকুলের মধু আহরণ করছে  কোলাহলরত অবস্থায় দেখা যায়। ৩ মার্চ সকালে  যশোরে বিভিন্ন গ্রামের পাড়া মহল্লায়  শিমুল গাছে এই  ফুলের মুকুলে দৃশ্য দেখা মেলে। যশোরে বিভিন্ন গ্রামের পাড়ায় মহল্লায় ফাল্গুন মাসে শিমুল গাছে ফুলের দৃশ্য পাখিরা ফুলের মুকুল থেকে মধু আহরণ করছে আবার পাখিরা কোলাহল করছে।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ফাল্গুন মাসে শিমুল গাছে এই সময় ফুলের রঙ লাল রঙের মত দৃশ্য গুলো দেখতে পাওয়া যায়। এই বিষয় শিমুল গাছের মালিক হাসানের কাজে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফাল্গুন মাসে পড়ন্ত বিকেলে এই শিমুল গাছে ফুলগুলো লাল টকটকে রক্তের মত লাল হয়ে দৃশ্যপট গুলো ছড়িয়ে থাকে।
তবে এই ফুল গুলো দেখতে খুব সৌন্দর্যজনক। এ সময় মৌমাছি ও বিভিন্ন প্রজাতি পাখিরা শিমুল ফুলের মুকুলের মধু আহরণ করতে দেখা যায় এবং পাখিরা কিচিমিচি ডাকতে শোনা যায়। এই তবে  শিমুল গাছের ফুল আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে ঝরে পড়ে। এরপর ফলের পরিণত হয়। শেষে এর থেকে তোলা তৈরি হয়। তারপর এই শিমুল তোলা থেকে বিভিন্ন রকমের লেপ তোষক বালিশসহ এই শিমুল গাছ দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করা হয়। তবে গ্রাম অঞ্চলের জনগণেরা বলেন এই শিমুল গাছ শুধু ওষুধী নয়। এর গুণ ক্ষমতা অনেক বেশি।
error: Content is protected !!