যশোরে মনিরামপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ থানায় অভিযোগ
লেখক:
mosharraf hossain প্রকাশ: 1 year ago
মোঃ ওয়াজেদ আলী স্টাফ রিপোর্টারঃ
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর পশ্চিমপাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে সাদ্দাম হোসেন (৩৫) মুদি ও কাপড়ের দোকানে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দোকান মালিক সাদ্দাম হোসেন একই গ্রামের শাহিদ হোসেন ও তার পুত্র নুর আলম (১৭) কে বাদী করে মনিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। জানা যায়, মনিরামপুর থানাধীন জয়পুর নিবাসী শাহিদ হোসেনের ছেলে নূর আলম দোকানে কেনাকাটার এক পর্যায়ে দোকানের মধ্যে বসেন এবং কৌশলে ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা চুরি করেন। যা দোকানী সাদ্দাম হোসেনের নজরে পড়ে। এই সময় নূর আলম কে টাকা চুরির বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে নেয়নি মর্মে জানান।
এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন নুর আলম এর দেহ তল্লাশি করেন এবং টাকা সন্ধান পান। টাকা চুরির ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নুর আলমের পিতা শাহিদ হোসেনকে খবর দিলে চেয়ারম্যান আসার পুর্বে শাহিদ হোসেন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বক তার ছেলে নুর আলম কে ছাড়িয়ে নিয়ে যান এবং প্রকাশ্যে দোকান পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। ঘটনার দুইদিন পর গত ০১/০৯/২০২৩ ইং তারিখ রাত আনুমান ২:৩০ ঘটিকার দিকে দোকানে আগুন জ্বলছে দেখে দোকানী সাদ্দাম হোসেন আগুন আগুন বলে চিৎকার করেন। তার ডাক চিৎকারও আহাজারি শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিস আসার পূর্বে দোকানের সাদ্দাম হোসেন মুদি ও কাপড়ের দোকান ভস্নিভুত হয়ে যায়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাদ্দাম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুইদিন আগে আমার মোদির দোকান ঘর থেকে টাকা চুরি করেছেন এবং দুদিন পরেই আমার মুদির দোকান ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েই দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আমি মুহূর্তে তার পিছে দৌড়াতে থাকি কিন্তু তাকে ধরতে না পেরে ফিরে এসে দোকানে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি কিন্তু এর মধ্যে সব কিছু শেষ হয়ে যায়। এই ঘটনার মর্মে মনিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এই ঘটনার বিষয় হরিরামপুর থানার এসআই মলয় কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঘটনার বিষয় সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ঘটনাটার বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনা বিষয়ে ইউপি সদস্য হুমায়ূন হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ঘটনার বিষয় আমি শুনেছি তবে ঘটনাটি তদন্তপূর্ব প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করি।