মোঃ ওয়াজেদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার:
ভয়াবহ লোডশেডিং ও গনবিরোধী বাজেটের প্রতিবাদে বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ যশোর জেলা কমিটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ( ১০ই জুন) বিকাল সাড়ে চারটায় দড়া টানা ভৈরব চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সম্পাদক কমঃ তসলিম উর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক কমঃ ইকবাল কবির জাহিদ, জেলা সম্পাদক মন্ডলির সদস্য কমঃ জিল্লুর রহমান ভিটু, জাতীয় কৃষক খেত মজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমান, নারী মুক্তি পরিষদের জেলা আহ্বায়ক সখিনা বেগম দ্বিপ্তী, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশের জেলা যুগ্মআহ্বায়ক নুর আলম, যুব নেতা মঞ্জুরুল আলম, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী জেলা সাধারন সম্পাদক রায়হান বিশ্বাস প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমঃ ইকবাল কবির জাহিদ বলেন,আজ ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের গনতান্ত্রিক সকল অধিকারকে হরন করে উন্নয়নের নামে লুন্ঠনের রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। এগারো লক্ষ কোটি টাকা ইতিমধ্যে বিদেশে পাচার করেছে। এ সমস্ত পাচারকৃত টাকা ফেরত আনতে হবে আর পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, সংসদে পেশকৃত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী ২০২৩-২৪ সালের যে বাজেট পেশ করেছেন তা গতানুগতিক ধনিক তোষণের। কালোটাকা উদ্ধার, টাকা পাচার রোধ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কোন পরিকল্পনা নেই। ৭,৬১,৭৮৫কোটি টাকার বাজেটে উন্নয়ন খাতে ২,৬১,৭৮৫ কোটি টাকা, যার সবটাই ঋণ নির্ভর। এই খাত সরকারের লুটপাটের বড় ক্ষেত্র। আর রাজস্ব খাতে যে ৫ লক্ষ কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছে তার সবটাই ব্যয় হবে বেতন ভাতা বাবদ। শিক্ষা, চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ বাড়েনি। মূল্যস্ফীতি ধরলে বরং বরাদ্দ কমেছে। বাজেটে ৬.৫% এর উপর মূল্যস্ফীতির কথা বলা হলেও তা নিয়ন্ত্রণের কোন দিকনির্দেশনা নেই। এতে করে গরীব নিম্ন আয়ের মানুষ আরও উচ্চ দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জর্জরিত হবে। নানাভাবে নিম্ন আয়ের মানুষের উপর নতুনভাবে করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। রাজস্ব আয় কোন ভাবেই ৫ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। আর উন্নয়ন খাতে ব্যাংক ও বিদেশি ঋণ যেমন আমাদের ব্যাংক খাতকে ডোবাবে, তেমনি বিদেশি ঋণের জালে আবদ্ধ হয়ে দেশ দেউলিয়া হবে। সামগ্রিকভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থায় কোন দিকনির্দেশনা নেই, নেই মৌলিক শিল্প খাতেও। এক কথায় বলা যায় এটা সরকারের আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কল্পনাবিলাসী অবাস্তব বাজেট। এ বাজেট জাতীয় অর্থনীতিকে ধ্বংস করবে আর জনগণের জীবনকে করবে আরও দূর্বিষহ।
তিনি গণবিরোধী এই বাজেটের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি আরো বলেন এ সরকারের অধিনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠ হবেনা। অবশ্যয় তদারকি সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে। আজ বিকাল চারটা তিরিশ মিনিটে ভয়াভয়ো লোড সেডিং ও গনবিরোধী বাজেট পেশের প্রতিবাদে বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ যশোর জেলা কমিটির আহবানে দড়াটানা ভৈরব চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা সম্পাদক কমঃ তসলিম উর রহমান। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক কমঃ ইকবাল কবির জাহিদ, জেলা সম্পাদক মন্ডলির সদস্য কমঃ জিল্লুর রহমান ভিটু, জাতীয় কৃষক খেত মজুর সমিতি কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমান, নারী মুক্তি পরিষদ এর জেলা আহবায়ক সখিনা বেগম দ্বীপ্তী, জাতীয় শ্রমীক ফেডারেশন বাংলাদেশ এর জেলা যুগ্ন আহবায়ক নুর আলম, যুব নেতা মন্জুরুল আলম, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী জেলা সাধারন সম্পাদক রায়হান বিশ্বাস প্রমূখ। সভা পরিচালনা করেন আহাদ আলি মুন্না।
সমাবেশে ইকবাল কবির জাহিদ বলেন আজ ফ্যাসিস্ট সরকার জনগনের গনতান্ত্রীক সকল অধিকারকে হরন করে উন্নয়নের নামে লুন্ঠনের রাম রাজত্য কায়েম করেছে। এগারো লক্ষ টাকা ইতি মধ্যে বিদেশে পাচার করেছে। এ সমস্ত পাচার কৃত টাকা ফেরত আনতে হবে আর পাচার কারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ জাতীয় সংসদে পেশকৃত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী ২০২৩-২৪ সালের যে বাজেট পেশ করেছেন তা গতানুগতিক ধনিক তোষণের। কালোটাকা উদ্ধার, টাকা পাচার রোধ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কোন পরিকল্পনা নেই। ৭,৬১,৭৮৫কোটি টাকার বাজেটে উন্নয়ন খাতে ২,৬১,৭৮৫ কোটি টাকা, যার সবটাই ঋণ নির্ভর। এই খাত সরকারের লুটপাটের বড় ক্ষেত্র। আর রাজস্ব খাতে যে ৫ লক্ষ কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছে তার সবটাই ব্যয় হবে বেতন ভাতা বাবদ। শিক্ষা, চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ বাড়েনি। মূল্যস্ফীতি ধরলে বরং বরাদ্দ কমেছে। বাজেটে ৬.৫% এর উপর মূল্যস্ফীতির কথা বলা হলেও তা নিয়ন্ত্রণের কোন দিকনির্দেশনা নেই। এতে করে গরীব নিম্ন আয়ের মানুষ আরো উচ্চ দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জর্জরিত হবে। নানাভাবে নিম্ন আয়ের মানুষের উপর নতুনভাবে করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা অপরাধের পর্যায়ে পরে। রাজস্ব আয় কোন ভাবেই ৫ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। আর উন্নয়ন খাতে ব্যাংক ও বিদেশি ঋণ যেমন আমাদের ব্যাংক খাতকে ডোবাবে, তেমনি বিদেশি ঋণের জালে আবদ্ধ হয়ে দেশ দেউলিয়া হবে। সামগ্রিকভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থায় কোন দিকনির্দেশনা নেই, নেই মৌলিক শিল্প খাতেও। এক কথায় বলা যায় এটা সরকারের আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কল্পনাবিলাসী অবাস্তব বাজেট। এ বাজেট জাতীয় অর্থনীতিকে ধ্বংস করবে আর জনগণের জীবনকে করবে আরো দূর্বিষহ।
তিনি গণবিরোধী এই বাজেটের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি আরো বলেন এ সরকারের অধিনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠ হবেনা। অবশ্যয় তদারকি সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে।