যশোর সদর উপজেলা সতীঘাটা কামালপুরে রহমত আলী বড় ছেলে প্রবাসী রাশেদুল ইসলাম (৪৪) এর স্ত্রী বিলকিস বেগম (৩৫) কামালপুর মৃতঃ মজিদ মেয়ে। স্ত্রী পরকীয়া কালে স্বর্ণ অলংকার নগদ অর্থ নিয়ে বাহির মল্লিক গ্রামের আঃ ওহাব ছেলে ডাক্তার আফজাল হোসেন এর সাথে পালিয়ে যাওয়ার, মর্মে প্রবাসীর পিতা রহমত আলী বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
২৯ জুলাই সোমবার এই ঘটনায় পিতা রহমত আলী বাদী হয়ে থানায় এই অভিযোগ দায়ের করে। সুত্রে জানা যায়, প্রবাসী রাশেদুল ইসলাম মালায়শিয়াতে কর্মরত থাকা কারণে স্ত্রী বিলকিস বেগম, বাড়ীতে গবাদি পশু পালন করে। এবং তা অসুস্থ হলে বাহির মল্লিক গ্রামের আঃ ওহাব ছেলে। কুয়াদা বাজারে পশু ডাক্তার আফজাল হোসেন (৪৫) কে বাড়ীতে ডেকে গবাদি পশুকে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। গবাদি পশুর চিকিৎসার কালে প্রবাসীর স্ত্রী বিলকিস বেগম পশু ডাক্তার আফজাল হোসেন, এদের মধ্যে প্রেম কাহিনী চলতে থাকে। এই ঘটনার বিষয় প্রবাসীর পরিবার অবগত হওয়ার পর আসামিদেরকে এহেন কাজ না করার কথা বলিলেও আসামীরা একইভাবে অবৈধ সম্পর্ক চলমান রাখে, এবং হুমকি ধামকি অব্যাহত। ৮ মাস পূর্বে আমার ছেলে দেশের বেড়াতে আসে এবং আবার বিদেশে চলে যায়। পরে ২ নং আসামী আফজাল হোসেন ইন্দোনে ১ নং আসামী বিলকিস দবেগম বিভিন্ন সময় বাড়ীর মালামাল গুলো তার পিতা মৃতঃ মজিদ গাজীর বাড়ীতে রাখেন। ১৯/০৭/২০২৪ ইং তারিখ সকাল ১০ টার সময় ১ নং আসামী ও ২নং আসামীর ইন্দোনে স্বর্ণ অলংকার ও নগদ অর্থ সর্বমোট ৪৩ লক্ষ টাকা নিয়ে ২ নং আসামীর সহিত যশোর শহরস্থ চাঁচড়া এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে অবৈধভাবে বসবাস করিতেছে।
এরই ধারাবাহিতায় গত ২৫ই জুলাই স্ত্রী বিলকিস বেগম প্রবাসে থাকা স্বামীকে তালাকনামা প্রদান করেন। আসামীদের কর্তক চোরাই নগদ ১০ লক্ষ টাকা, স্বর্ণ অলংকার ১০ ভরি মূল্য ১০ লক্ষ টাকা, সংসারের মালামাল, আসবাবপত্র, যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষ টাকা, জমি বন্ধকের ৩ লক্ষ টাকা, সর্বমোট ৪৩ লক্ষ টাকা ।
তবে তারা সমস্তকিছু ফেরত নেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হইয়া মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় প্রবাসীর পরিবার সবকিছু ফেরত পাওয়ার লক্ষে তদন্তপূর্বক প্রশাসনে আশু- হস্তক্ষেপ কামনা করেন।