নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের টেকা নদীর মাটি কেটে বিক্রির দায়ে কমলেশ সরকার (২৬) ও আবু আব্দুল্লাহ (২২)কে
সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ সোমবার (১ লা এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের পাঁচাকড়ি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ দন্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই যুবক হলেন, উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের কালী দাস সরকারের ছেলে কমলেশ সরকার (২৬) ও যশোর সদরের রামনগর গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে আবু আব্দুল্লাহ (২২)। তাঁদের মধ্যে আব্দুল্লাহ স্কেভেটরের চালক। কমলেশ তাঁকে ভাড়া করে এনে মাটি কাটাচ্ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান। তিনি কারাদণ্ডাদেশের বিষয় নিশ্চিত করেন।
আলী হাসান বলেন, আজ সোমবার দুপুরে নেহালপুরের পাঁচাকড়ি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় দেখা গেছে কমলেশের নেতৃত্বে টেকা নদীতে স্কেভেটর লাগিয়ে মাটি কেটে ছোট ছোট লরিতে করে নেহালপুরসহ আশপাশের এলাকায় বিক্রির কাজ চলছে। আমরা ঘটনাস্থলে কমলেশ ও স্কেভেটরের চালক আব্দুল্লাহকে পায়।
তিনি আরও বলেন, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী কমলেশ ও আব্দুল্লাহকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। আসামিরা অর্থদণ্ড দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আদেশ মোতাবেক তাঁদেরকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে অভিযানে অংশ নেওয়া নেহালপুর ক্যাম্প পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
টেকা নদীর মাটি কেটে বিক্রির চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারেন বলে জানান আলী হাসান। তিনি বলেন, আমরা উপস্থিত হয়ে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করেছি। আবার কেউ এই কাজে জড়ালে তাঁকে সাজার আওতায় আনা হবে।