যশোরে জামায়াত নেতা হত্যায় জড়িত ২ সদস্যসহ গ্রেফতার ৫

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 2 weeks ago

স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ

যশোর জেলার কোতোয়ালি থানাধীন খোলাডাঙ্গায় ছুরিকাঘাতে জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম সজল হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই আসামিসহ কিশোর গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এবং তাদের হেফাজত থেকে হত্যা ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্র ও চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (৬ নভেম্বর) ও আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) শহরতলীর খোলাডাঙ্গা গাজিরহাট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম শহিদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানান ,জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম সজলকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা তদন্ত শুরু করে যশোর ডিবি পুলিশের একটি টিম। তদন্ত চলাকালে খোলাভাঙ্গা গাজিরহাট বাজার থেকে তদন্তে প্রাপ্ত দুই আসামি বর্তমানে যশোর কোতোয়ালি থানাধীন খোলাডাঙ্গায় বসবাসরত খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার বারাশাত গ্রামের আবছাবুর রহমান হাসিবের ছেলে সাদমান রহমান সাকিন (১৯) ও কোতয়ালী থানাধীন খোলাডাঙ্গা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আল-আমিন হোসেনকে (১৮) গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের নাম প্রকাশ করে।

তথ্য প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামিদের পূর্বের ধারণকৃত একটি ভিডিও ফুটেজ জব্দ করে পুলিশ। ফুটেজটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী লাবিব, সাকিনসহ ৪-৫ জন একটি মাদক সেবনের আসরে চাকু ও রিভলবার নিয়ে প্রশিক্ষন নিচ্ছে। উক্ত ভিডিওর সূত্র ধরে সাকিন এর তথ্য মোতাবেক অভিযান পরিচালনা করে ভিডিওতে প্রাপ্ত কিশোর গ্যাংয়ের আরও তিন সদস্য কোতোয়ালি থানাধীন খোলা ডাঙ্গা মফিজ পাড়ার লুৎফর রহমানের ছেলে রায়হান আহমেদ (২১), খড়কী সার্কিট হাউজ এলাকার বাবুল মোলের ছেলে আব্দুর রহমান সাগর (২১) ও খালা ডাঙ্গা গাজীরপাড়া এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে রিয়াদ হাসানকে (২১) গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার করে আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রায়হানের বসতবাড়ির সিঁড়িপথের নীচ থেকে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার সময় ২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের নিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি লাবিব এর বাসায় অভিযান করে লাবিবের শয়ন কক্ষে তল্লাশী করে হত্যা কাজে ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।

ডিবি পুলিশ আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আল-আমিন ও সাকিন নিজেদেরকে জড়িয়ে জামায়াত নেতা সজলের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ১৩-১৪ জনের নাম প্রকাশ করে জানায় যে, ঘটনার ১৫-২০ দিন আগে এলাকার জনৈক ফখরুল ইসলাম এর এক স্বজনকে আসামী স্মরন ও রবীন পথরোধ করে ব্যাগ তল্লাশীর ঘটনায় ফখরুল ইসলাম বিষয়টি নিহত সজলকে নিয়ে প্রতিবাদ করেন।

error: Content is protected !!