মোঃ ওয়াজেদ আলী,স্টাফ রিপোটার:
ঈদুল-আযহার প্রথম দিনের পশু কোরবানি চলছে। সারাদেশের মতো যশোরে ও সকাল থেকে পরম করুণাময় আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলছে কোরবানির পশুর মাংস কাটার কাজ। তবে পশুর চামড়ার দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন বিক্রেতা তথা চামড়া সংগ্রহ করা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। কাঁচা চামড়ার ন্যায্য দাম না পাওয়া নিয়ে অভিযোগ করছেন তারা। এমনকি কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কাও তাদের। অন্যদিকে চামড়া মালিক ও আড়তদাররা বলছেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই তারা কাঁচা চামড়া কিনছেন।
ঈদের দিন বৃহস্পতিবার ২৯শে জুন সকাল থেকেই শহরের প্রায় সব এলাকায় মাদরাসা ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি বাড়ি ঘুরে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করেন। তবে যে দামে তারা চামড়া সংগ্রহ করছেন সে দামেও তা কিনছে না রাজারহাট কাঁচা চামড়ার আড়তদার ও চামড়া মালিকরা। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিশনের দাবি, কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ে অভিযোগ থাকলেও লবণ দেওয়া চামড়া কেনাবেচা হবে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে। বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় এ বছর ৫ থেকে ১০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা। বৃহস্পতিবার ২৯ই জুন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পশুর চামড়ার দাম অনুসন্ধানে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সংগ্রহ করা পশুর কাঁচা চামড়া বিক্রি জন্য যশোর রাজারহাট রামনগর চামড়া বাজারে নিয়ে আসেন এতিমখানার কর্মীরা। একটু বাড়তি দামের আশায় ক্রেতার কাছে নিয়ে গেলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ার কথা জানান তারা। জানা যায় এ বছর বড় আকারের গরুর কাঁচা চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়, মাঝারি গরুর চামড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং ছোট আকারের গরুর চামড়া ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবং ছাগলে চামড়া বিক্রয় করা হচ্ছে ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত চামড়া ক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে এবার বিঘ্নিত হচ্ছে বেচাকেনা। বৃষ্টিতে চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় দাম কিছুটা কম যাচ্ছে।