মোঃ ওয়াজেদ আলী স্টাফ রিপোর্টার:
যশোর সদর উপজেলার ১১ নং রামনগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড কামালপুর গ্রামে তুলি বেগম’র ৬ টি পাতিহাঁস, আছিয়া খাতুন’র ২ টি পাতিহাঁস, শাহানারা খাতুন’র ২ টি পাতিহাঁস, ইয়াসিনের চারটি পাতি হাঁস, জোনাকি গাজী’র ১ টি রাজ হাঁস, সর্বমোট ১৫ টি হাঁস বিষ প্রয়োগে হত্যা করেন খরিচাডাঙ্গা গ্রামের মৃত সদর আলী মোড়লের ছেলে আনার মোড়ল। রবিবার দুপুরে বিষ প্রয়োগে হাস মারার ঘটনার সংবাদ পেয়ে রামনগর ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাশেদ হোসেন এবং ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রামপ্রসাদ রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ইউপি সদস্যবৃন্দ ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে বলেন, আগামীকাল সোমবার ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। আমরা সরেজমিনে এসে ঘটনার বিষয় দেখে গেলাম এর একটা সঠিক বিচার করবেন বলে আশ্বাস দেন ভুক্তভোগীদের। কিছুক্ষণ পর বিষ প্রয়োগের হাঁস মারার ঘটনায় ভুক্তভোগীদের বাড়ি গেলে স্থানীয়ভাবে আলোচনা সাপেক্ষে ১৪ টি পাতি হাঁস প্রতি পিস ৩৫০ টাকা দাম এবং একটি রাজহাঁস ১০০০ টাকা দাম মোট ৬ হাজার টাকা উভয়পক্ষে আলোচনা মাধ্যমে সমাধান করা হয়। এই ঘটনার বিষয় আনার মোড়লের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ধান ক্ষেতে প্রতিনিয়ত ধান খায় এবং ধানগুলো নষ্ট করে ফেলে। আমি সহ্য করতে না পেরে ধান ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করি। এতে হাঁস গুলি ধান খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং পরে মারা যায়। হাঁস মারার ঘটনায় স্থানীয় জনগণ আলোচনার মাধ্যমে জরিমানা স্বরুপ ৬০০০ টাকা ধার্য করে । এতে আমার কোন আপত্তি নাই বলে জানান আনার মডল। আমি নগদ ২০০০ টাকা প্রদান করি এবং বাকি ৪০০০ টাকা ২৫ নভেম্বর প্রদান করিবো বলে জানান।