মোঃ ওয়াজেদ আলী,স্টাফ রিপোর্টারঃ
যশোর সদর উপজেলার মনিরামপুর মহাসড়কে কানাইতলা নামক স্থানে আব্দুল্লাহ ওয়ার্কশপে চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন তোলাগোলদার পাড়া জালালের ছেলে ফয়জুল ইসলাম (৩৫ ) কে আটক করে তাকে বেধড়ক মারপিটে জখম করেন।
তাৎক্ষণিক আব্দুল্লাহ ওয়াকশপের মালিক তার বাড়িতে খবর দেয় রাতে সাথে সাথে তোলাগোলদার পাড়া এবং তার পরিবার ও স্বজনেরা এসে তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। তবে তার পরিবার রবিবার সকালে এই ফয়জুল কে বেধড়ক মারপিট জখম করে ফেলে রাখা অবস্থায় দেখতে পাই।
তোলাগোলদার পাড়া তার পরিবার ও গ্রামবাসীরা তাকে ছাড়াতে গেলে তাদের সামনেও বেধড়ক মারপিট করছে বলে জানান। এদিকে পরিবার ফয়জুল কে মারধর করতে নিষেধ কথা বললে আরো বেধড়ক মারপিট করে মারাত্মক জখম অবস্থা ফেলে রাখেন। ওয়ার্কশপে মালিক তার পরিবার কাছে বলেন ফয়জুলকে পুলিশ হাতে তুলে দেবেন। তবে ফয়জুলের অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে তার মৃত্যু হয় বলে জানান। এলাকার বাসীর সূত্র জানা যায় একই গ্রামের মৃত্যু গোপলা গাজীর বড় ছেলে রফিক গাজী শনিবার রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে ফয়জুল কে ১ হাজার টাকা দেবে কথা বলে আব্দুল্লাহ ওয়াকশপে চুরির কথা বলেন। সেই লোভে ফয়জুল চুরি করতে গিয়ে মালিকের হাতে ধরা পড়ে। তবে চোর চক্রে ৪ সদস্য ছিল বলে জানান। এই ফয়জুলকে ওয়াকসপের এর মালিক আব্দুল্লাহগণ অভিনব কায়দায় এই ফয়জুল কে বেধড়ক মারপিটের জখম করে ফেলে রাখে।
এই ঘটনার বিষয় ফয়জুলের বোন ইলোরা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ভাইকে গতরাতে রফিক চোর ১ হাজার টাকা দিবে বলে আব্দুল্লাহ ওয়াকশপে চুরি করতে যেতে বলেন এতে আমার ভাই ধরা খায় আমরা সবাই আমার ভাইকে ছাড়াতে গেলেও আমাদের কাছে দিতে অস্বীকার করেন এবং আমাদের সকলের সামনে বেদধক মারপিট করতে দেখা যায় কিন্তু নিষেধ করলে ও ওয়ার্কশপের মালিক কিছুতে তাদের কথা কর্ণপাত করে নাই। তাদের সামনেও বেধড়ক মারপিট করে।
পরেরদিন সকাল রবিবার ওই গ্রামের মানূষ ও তার পরিবার ফয়জুলকে প্রাণ ভিক্ষা চেয়েও কোন লাভ হয়নি। এই ঘটনায় ফয়জুলকে জখম অবস্থায় যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে ফয়জুল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন বলে তার পরিবার জানান। এই ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে পরিবার এবং স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্কে বিরাজ করছে। প্রশ্ন উঠেছে আব্দুল্লার ওয়ার্কশপের মালিক এর খুঁটির জোর কোথায়। এই ঘটনা এলাকাবাসী ফয়জুলের মৃত্যুতে তদন্ত পূর্বক প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ করেন।
এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে রবিবার দুপুর বেলায় ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন এসআই আনসারুল এসআই রঞ্জন ও সঙ্গীয় ফোর্স। পরিদর্শন কালে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মারধর জখমের আলামতসহ রফিক চোরকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।