স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
যশোর জেলার সদর উপজেলার মঠবাড়ী গ্রামে বুকভরা বাওড়ে একটি অজ্ঞাত মহিলার লাশ পাওয়ার সংবাদ পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানা ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উক্তস্থানে পাওয়া ভাঙ্গা মোবাইলের সূত্র ধরে ডিবি’র এসআই খান মাইদুল ইসলাম দ্রুত সময়ে লাশের পরিচয় সনাক্ত করে ১ ঘন্টার মধ্যে নিহত খাদিজা খাতুন ওরফে মিতু কর্মকারের কথিত স্বামী মৃন্ময় ভদ্র ওরফে নিলয় (৩২)কে গ্রেফতার করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত মৃন্ময় ভদ্র সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার দামোদরকাঠি গ্রামের মদন ভদ্রের ছেলে।সে বর্তমানে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানাধীন চান্দুটিয়ায় ভাড়া থাকে।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী আজ বুধবার (২৪ শে এপ্রিল)
সকাল অনুমানিক আটটায় যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন মঠবাড়ী গ্রামস্থ বুকভরা বাওড়ে একটি অজ্ঞাত মহিলার লাশ পাওয়ার সংবাদ পেয়ে কোতয়ালী থানা ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ঘটনাস্থলে পাওয়া ভাঙ্গা মোবাইলের সূত্র ধরে ডিবি’র এসআই খান মাইদুল ইসলাম দ্রুত সময়ে লাশের পরিচয় সনাক্ত করে ১ ঘন্টার মধ্যে নিহত খাদিজা খাতুন ওরফে মিতু কর্মকার এর কথিত মৃন্ময় ভদ্র ওরফে নিলয়কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া চৌরাস্তা গ্রামের
আজগর আলীর মেয়ে নিহত খাদিজা খাতুন ওরফে মিতু কর্মকার (৩০) নৃত্যশিল্পী ছিলো। ইতোপূর্বে সে ধর্মান্তরিত হয়ে এক হিন্দু ছেলেকে বিবাহ করে পরবর্তীতে তাকে তালাক দিয়ে একাধিক ছেলের সাথে সম্পর্ক ও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
কোন এক নৃত্যের স্থান থেকে মৃন্ময় ভদ্র এর সাথে নিহত খাদিজার পরিচয় হয় এবং সম্পর্কে জড়ায় এবং তাকেও বিবাহ করে। একপর্যায়ে ৩ বছর আগে তাকে তালাক দিয়ে মোটা অংকের টাকা নেয়। মৃন্ময় ভদ্রের সাথে একাকিত্বে কাটানো বিভিন্ন ছবি নিহত খাদিজার কাছে ছিল এবং বিভিন্ন সময়ে তাকে সেই ছবি দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখায় এবং পুনঃ সম্পর্ক ও টাকা দাবী করে। যে কারনে মৃন্ময় ভদ্র তাকে ( খাদিজা খাতুন) গত মঙ্গলবার (২৩ শে এপ্রিল) পাটকেলঘাটা থেকে নিয়ে রাতে উক্ত এলাকায় প্রবেশ করে রাত অনুমানিক এগারোটায় গলাটিপে হত্যা করে মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ঘটনাস্থলে ফেলে রাখে।
নিহতের পরিবারের সদস্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।