মোঃ ওয়াজেদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার:
যশোরের রাজারহাট কানাইতলা নামক স্থানে সালেহা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের দূষিত পানিতে কৃষকের ফসল নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,যশোরে কানাইতলা সালেহা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ এর দূষিত পানি প্রতিষ্ঠানের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর পাশ দিয়ে অথবা কৃষকের জমির কিনারা দিয়ে ড্রেন করে প্রতিষ্ঠানের সমস্ত দূষিত পানি কৃষকের মাঠে ছেড়ে দেন। সেই দূষিত পানি কৃষকের ধানের জমিতে পড়ায় কর্দমাক্ত হয়ে আছে এবং জমিতে কাটা ধান ভিজে নষ্ট হতে দেখা যায়। এই ঘটনার বিষয় কৃষক রনি হোসেন, আবুবক্কার, হবিবুর রহমান, মামুন হোসেন, ইমরান হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা আমন ধান কাটার সময় আমাদের জমি শুকনা ছিল।
এমন অবস্থায় ধান কেটে রাখি এবং ধান শুকানোর সাথে সাথে আমরা বাড়িতে নিয়ে যাব। তবে কাগজ ফ্যাক্টরির কর্মকর্তারা অভিনব কায়দায় রাতের আঁধারে দূষিত পানি ড্রেনের দিকে ছেড়ে দেয় এতে কৃষকের জমি গুলো কর্দমাক্ত হয়ে ফসল নষ্ট হচ্ছে বলে জানান। এদিকে চাষী মকবুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যখন জমি থেকে ধান কেটে ছিলাম তখন জমিটি শুকনা ছিল তবে সকালে এসে দেখি আমাদের জমিতে ঐ প্রতিষ্ঠানের দূষিত পানি ভরে গেছে। আমরা কৃষকরা সকালে এসে দেখি ফ্যাক্টরির দূষিত পানি কাটা ধান ভিজে গেছে। কৃষকরা আরোও বলেন কাগজ ফ্যাক্টরির কিনারে আমাদের জমি থেকে পাকা ধান কাটা শেষ হয় নাই। এমন অবস্থায় যদি পাকা ধানের গোড়ায় পালিয়ে জমে তাহলে আমরা কিভাবে ধান কেটে আমরা আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাব। এদিকে, সংবাদ সংগ্রহকালে ফ্যাক্টরির দায়িত্বরত গেট সুপারভাইজার স্যাকলাইন সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন এবং দেখে নেওয়া সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টারি কর্মকর্তার নিকট ঘটনার বিষয়টি জানালে ও তারা কোন কর্ণপাত করে নাই। এঘটনায় কৃষকরা ফসল ঘরে তোলা নিয়ে সংঙ্কায় রয়েছে । প্রশ্ন উঠেছে, হুমকি দাতা গেট সুপারভাইজার স্যাকলাইন ও ফ্যাক্টরি কর্মকর্তাদের খুঁটির জোর কোথায়? উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট কৃষকদের দাবি, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।