মোহনা টিভি’র নামে চাঁদাবাজি, ৫ কতিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

লেখক:
প্রকাশ: 1 year ago

এফ এম হাসান,সিলেট থেকে:-

সিলেটে মোহনা টিভিতে নিয়োগের নামে লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে ৫ কতিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফয়ছল আহমদ বাদী হয়ে গত বুধবার এ মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কতোয়ালী থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, মোহনা টিভির সিলেটের ব্যুরোচীপ আব্দুল আওয়াল চৌধুরী শিপার, গ্লোবাল টিভির স্বঘোষিত ব্যুরোচীফ ও হাওরাঞ্চলের কথার সম্পাদক মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন, হাওরাঞ্চলের কথার স্টাফ রিপোর্টার মো: রায়হান হোসেন,
হাওরাঞ্চলের কথার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হেলাল আহমদ চৌধুরী, হাওরাঞ্চলের কথার স্টাফ রিপোর্টার কামরুল ইসলামসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলায় বলা হয়েছে, আব্দুল আওয়াল চৌধুরী শিপার ফয়ছল আহমদকে মোহনা টিভির সিলেট প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে নগদ ১ লক্ষ টাকা নেন। পরবর্তীতে শিপার প্রতারণা মামলায় জেল হাজতে গেলে তার স্ত্রী ফেরদৌস চৌধুরী ধার বাবত ৩০ হাজার টাকা নেন। এ টাকা নিয়ে শিপার অস্বীকার করলে ফয়ছল আহমদ সিলেটের পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেন। শিপার প্রতারণা মামলায় ৩১দিন জেলে ছিল।

শাহপরান (র) থানার ততকালীন সহকারী কমিশনার উভয়ের স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ও তদন্তে শিপার ও তার স্ত্রী ফেরদৌস চৌধুরী ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রমাণিত হয়। তখন বাদীকে থানা অথবা কোর্টে এ টাকা উদ্ধারের জন্য মামলা করতে বলা হয়। এ সময় সুনামগঞ্জের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হাজতী বাস করা কতিত সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন বাদীকে মামলা না করে আপোষে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দিলে বাদী মামলা না করে আপোষে নিষ্পত্তিতে রাজি হন। মোহনা টিভির শিপার চৌধুরীর ভাষ্যমতে, সাংবাদিক নামধারী মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন (স্বঘোষিত তালুকদার) তাহার কাছ থেকে মধ্যস্থতার নামে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে ।

এ নিয়ে বাদী জুনের ১৯ তারিখে তালুকদার টাইটেল খ্যাত মাহতাবের অফিসে গেলে অন্যান্য আসামীরাসহ বাদীকে জিম্মি করে রাখে এবং টাকার দাবী করলে প্রাণে হত্যার হুমকি দেন।

এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী ফয়ছল আহমদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মোহনা টিভিরব্যুরোচীফ পরিচয়ধারী আব্দুল আওয়াল চৌধুরী শিপার আমার কাছ থেকে মোহনা টিভিতে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ও তার স্ত্রী ধার বাবত ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নেন। যা পুলিশি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

আপোষ মীমাংসার কথা বলে মাহতাব উদ্দিন এ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এখন বিভিন্ন লোকজন দিয়ে আমাকে হুমকি দেওয়াচ্ছে। আমার কাছে চাঁদা দাবী করছে। আসামীদের বিরুদ্ধে ধর্ষন, প্রতারণা, মাদক চোরচালানসহ সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা আছে। তারা সবাই বিভিন্ন মামলায় জেল খেটেছে দীর্ঘদিন এবং একাধিকবার। এরা আন্ত:জেলা অপরাধ চক্র গড়ে তুলেছে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলায় এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

error: Content is protected !!