শেখ নাইম ইসলাম :
মোংলায় পর্নোগ্রাফি মামলায়পুলিশের হাতে আটক সাইফুল হাজারি (২৮) নামে এক যুবক।
আজ সোমবার (৩ জুন) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (২ জুন) রাতে তাকে উপজেলার মৌখালী আন্ধারিয়া গ্রামের নিজ বসত বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মিঠখালি ইউনিয়নের মৌখালী আন্ধারিয়া গ্রামের তোয়েব আলী হাজারীর ছেলে সাইফুল হাজারী (২৮) এর সাথে ২০২১ সালে ইপিজেড এ চাকুরী করা কালীন জনৈক ইপিজেড শ্রমিকের সাথে পরিচয় হয়।
সেই পরিচয়ের সুবাধে দুজনের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সরলতার সুযোগ নিয়ে ইপিজেড শ্রমিককে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ২০২৩ সালের আগষ্ট মাসের ৪ তারিখ ধর্ষন করে এবং সেই ছবি গোপনে মোবাইল ধারন করে রাখে সাইফুল হাজারী। পরবর্তীতে সাইফুল হাজারী ঐ ইপিজেড কর্মীকে বাড়িতে আসতে বললে ইপিজেড কর্মী বিবাহের কথা বললে পূর্বের ধর্ষনের ছবি তার মোবাইলে ধারন করা আছে বলে জানায়। তার কথা না মানলে ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে ভাইরাল করে দিবে বলে হুমকি দেয় এবং তাদের অন্তরঙ্গ ছবি ইপিজেড কর্মীর মোবাইলে পাঠায়। পরে ১ লাখ টাকা দিলে ছবি ইন্টারনেটে ছাড়বে না বলে জানায়। ইপিজেড কর্মী তখন তার গচ্ছিত ও বেতনের টাকা ১টি মোটর সাইকেল কিনে সাইফুল হাজারীকে দেয়। পরে বিবাহ করার কথা বলে চলতি বছরের গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় ইপিজেড শ্রমিককে সাইফুলের বাড়িতে ডাকে। সেখানে তাকে আবারো ধর্ষন করে তাকে মারধর করে তার মোবাইল রেখে দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় সাইফুল হাজারী। আরো বিশ হাজার টাকা তার মোবাইলে পাঠাতে বলে। ইপিজেড কর্মী সাইফুল হাজারীকে বিবাহের চাপ দিলে তাদের সব কিছু ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল করে দিবে বলে হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে ইপিজেড কর্মী গত ৯/০৫/২৪ইং জেলা বাগেরহাট বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ মামলা দায়ের করেন। আদালতের আদেশ মোংলা থানায় সাইফুল হাজারীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। মামলা নং-২, তাং-০২/০৬/২৪ইং। রাতেই মোংলা থানা পুলিশ মিঠাখালি ইউনিয়নের মৌখালী গ্রামের আন্ধারিয়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে সাইফুল হাজারীকে গ্রেফতার করে।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, এক ইপিজেড কর্মীর দায়ের করা পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় সাইফুল হাজারীকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার (৩জুন) দুপুরে বাগেরহাট বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।