সোহেল রানাঃ
যশোরের ঝিকরগাছায় এবার এক মেধাবী ছাত্রী দাখিল পরিক্ষার্থীর পাশে দাড়িয়েছেন মানবতার ফেরিওয়ালা সায়েদ আলী। মেয়েটির নাম সাদিয়া খাতুন। মেয়েটি এবার ২০২৪ইং সালের কুলিয়া ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী ছিলো।
জানা যায়, বিগত দুই বছর আগে সাদিয়ার মা জেসমিন আক্তার ও বাবা আকরাম হোসেনের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে তার বাবা মা দুইজনই দুই জায়গায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মেধাবী শিক্ষার্থী তার মায়ের সাথে যশোরে থেকে পড়াশোনা করতো। মেয়েটির যখন পরিক্ষা দেয়ার সময় হয়ে আসলো। তখন তার বাবা আকরাম হোসেন এবং সৎ মায়ের কাছে নিজ বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করার জন্য অনুমতি চাওয়া হলেও তার কোন ঠাঁই হয়না নীজ বাড়িতে।
এমতাবস্থায় মেয়েটি দিশেহারা হয়ে পড়ে। তাহলে তার পরিক্ষার কি হবে? সে কি লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হবে।বিষয়টি কুলিয়া ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার দাখিল মাদ্রাসার একজন শিক্ষকের মাধ্যমে জানতে পেরে মেধাবী শিক্ষার্থী সাদিয়ার দায়িত্ব নিতে রাজি হন বিশিষ্ট সমাজসেবক সাদা মনের মানুষ খ্যাত সায়েদ আলী। দীর্ঘ তিন মাস মেয়েটিকে তার নীজ বাড়িতে রেখে খাওয়া দাওয়াসহ পরিক্ষার যাবতীয় খরচ বহন করেন সায়েদ আলী।
এবারের দাখিল পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে ভালভাবে শেষ করেছে সাদিয়া। এদিকে সায়েদ আলীর এমন মহৎকাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। অবশেষে সাদিয়ার গর্ভধারিণী মায়ের কাছে যশোরে ফিরে গেলেন কুলিয়া গ্রামের আকরাম শেখের কন্যা সাদিয়া খাতুন।
এ ব্যাপারে সায়েদ আলী বলেন, মানুষ মানুষের জন্য, জিবন জিবনের জন্য, একটু সহানুভূতি মানুষ কি পেতে পারেনা। মেধাবী শিক্ষার্থী সাদিয়া খাতুনের দ্বায়িত্ব নিতে পেরে নিজের গর্ব হচ্ছে। সর্বদা চেষ্টা করি সমাজের অসহায়-দুঃস্থ, মেধাবী শিক্ষার্থী ও বিধবা নারীদের পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।