মুরাদ হাসানের লেখা কবিতা “মরা নদী কান্না”

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 7 months ago

মুরাদ হাসানের লেখা কবিতা “মরা নদী কান্না”

চৈত্র মাসে খা খা রোদে হঠাৎ দেখি
দুপুরেতে সবাই ছুটছে উত্তরেতে
কি হয়েছে, কি হয়েছে উত্তর নাহি পাই।

এমন সময় বলে একজন মাছেদের হাট বসেছে
ঐখানেতে বলিয়াদহের বাঁকে যেতে হবে মোরে
সেথায় নাকি হরেক রকম মাছে খেলা করে
এক্ষুনি যাবো সেথা ধরিবো মাছ খাবো মজা করে।
আমিও তাদের সাথী হয়ে গিয়েছিনু সেই খানে।
যাবার কালে মা জননী ডাকে মোরে বারে বারে
ওরে সোনা যেয়ো নাকো গহীন পানিতে
তুমি আমার সোনামণি পড়ে যাবে চোরাবালিতে।।

বলি আমি দৌড়ায়ে মাঠে, ভয় পেয়ো না আমার তরে
নিয়ে আসবো তোমার জন্যে খালোই খানা ভরে
বড় বড় রৈ, কাতলা আর বোয়াল মাছ সব ধরে ।
অথৈ জলে কতোই মানুষ মাছ ধরে সব মিলেমিশে।
সেই দেখিয়া মনটা আমার নেচে উঠে আনন্দে আনন্দে
জলমহালের হাওয়ালদার আর জেলেরা সব বড় বড় জালে
হরেক রকম মাছ ধরেছে, নিতে হবে নিত্তগঞ্জের হাটে।
এমন সময় চৌধুরীদের নজর শুধু তাদের দিকেই পড়ে।
বড় বড় মাছ গুলি সব নিতেই হবে তারে
আজ যে তাদের রাস উৎসব তাই তো তাদের
খুবি প্রয়োজন, এগুলো তে আনন্দ হবে খুবই খাসা করি
মাঝি বলে দিবো তবে টাকা দিও কড়ি কড়ি তবেই পাবে সবি।

বলিয়াদহের চিতল আর স্বাদের বোয়াল মাছ
দুই ধারে তার সারি সারি তাল সুপারি গাছ।
কোথায় তাহার ঢেউয়ের দাপট, কোথায় নৌকা বাইছ!!
পাল তুলা সেই রঙিন নৌকা আমায় কাঁদা আজ।
নেই কো সেথা মাঝি মাল্লা, আছে বালি রাশি রাশি।
যমুনা নদীর পাগলামি আর যৌবনের উল্লাস
সেথায় এখন ভুট্টা, বাদাম আর কৃষকের হাস পাস।

error: Content is protected !!