স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক রোডে আনোয়ারা কুঞ্জ নামে একটি দ্বিতল ভবন ছিল যার মালিক ছিলেন মরহুম মোকলেসুর রহমান। মোখলেছুর রহমানের মৃত্যুর পর বাড়িটি শরিকদের ফাঁকি দিয়ে জোরপূর্বক দখল করেছিলেন তার ছোট ছেলে মাহমুদুর রহমান সোহেল। শরিকদের না জানিয়ে দ্বিতল বাড়িটি ভেঙে নতুন ৪ তলা বিল্ডিং এর স্থাপনা করিতেছে মাহমুদুর রহমান সোহেল।
কিন্তু ওই বাড়ির ওয়ারেশ মরহুম মোখলেছুর রহমানের ২ পুত্র ও ৫ কন্যা। উক্ত জমি রেজিস্ট্রি বন্টন ছাড়াই ছোট পুত্র মাহমুদুর রহমান বাড়ির স্থাপনা শুরু করায় বাকি ৬ ওয়ারেশ বাদি হয়ে যশোর যুগ্মজজ ১ নং আদালতে বন্টন মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ১২২/২৪,তারিখ ০৩/০৭/২৪ ইং।
গত বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে মাননীয় জজ সাহেব আগামী মঙ্গলবার আবার শুনানির দিন ধার্য করেন এবং সে পর্যন্ত স্থাপনার কাজ বন্ধ রাখার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু মাহমুদুর রহমান উক্ত আদেশ অমান্য করে স্থাপনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বন্টন মামলার বাদি মাসুদুর রহমান ঘটনা জানতে পেরে জায়গা পরিদর্শন করে স্থাপনা কাজের ছবি উঠাতে গেলে তার সাথে মাহমুদুর রহমান অশালীন মারমুখী আচরণ করেন।
উক্ত মাহমুদুর রহমান যশোর শহর সমাজসেবা অধিদপ্তর এর একজন কর্মচারী। একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে মাননীয় আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা ও বাদীর সাথে ধরনের অশালীন ঐদ্ধ্যত্তপূর্ণ আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক।
এলাকার প্রতিবেশী লোকজনের সাথেও তার সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ। মরহুম মোখলেছুর রহমানের ওয়ারেশ উক্ত বন্টন মামলার বাদিগন অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।