স্টাফ রিপোর্টার:
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যা ব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ভিকটিম কালাম এর সাথে আসামীরা পূর্ব পরিচিত এবং কালাম মাছের ঘেরের ব্যবসা করতো। পূর্বে হতে মাছের ঘের নিয়ে আসামীদের ও ভিকটিমের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিম গত ২২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ সকাল ০৮.০০ ঘটিকার সময় নিজ বাসা হইতে ঘেরের উদ্দেশ্য বাহির হয়। ভিকটিম কালাম উক্ত স্থানে যাওয়ার পরে পূর্ব বিরোধের জের ধরিয়া ধৃত প্রধান আসামী মজনু (৩৫) সহ অন্যান্য আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ভিকটিমকে দেশীয় দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ঘেরের কচুরিপানার ভিতরে উক্ত লাশ ফেলে চলে যায়। বিকাল অনুমান ১৫.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম বাসায় ফিরে না আসায় তার স্ত্রী বিলকিস বেগম ও ছেলে, মেয়ে খোজাখুজি শুরু করে। তখন ভিকটিমের ভাই মঈন শেখ (৪২) ও স্ত্রী রাস্তার পাশে তার ব্যবহৃত সাইকেল দেখতে পায় এবং তারা ঘেরের ভিতরে খোজা খুজি শুরু করে। পরবর্তিতে ঘেরে থাকা কচুরিপানার ভিতরে ভিকটিমের হাত দেখিতে পাইয়া ডাক চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজনসহ স্থানীয় মেম্বর ও পুলিশ আসিয়া গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তিতে পুলিশ উক্ত গলাকাটা লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে কেএমপি খুলনা আড়ংঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার বিষয় র্যাব সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৩ অবক্টাবর ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর “কালাম” হত্যা মামলার প্রধান আসামী কেএমপি খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যোর ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ কেএমপি খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন শিরমণি বাদামতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে খুলনা জেলার আড়ংঘাটা থানার আাসমী মজনু (৩৫), খুলনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে কেএমপি খুলনার আড়ংঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।