স্টাফ রিপোর্টারঃ
যশোর সদর উপজেলার মনিরামপুর মহাসড়কে যশোর সামাজিক বন বিভাগ এবং কামালপুর ও বাজুয়াডাঙ্গা সামাজিক বনায়ন সমিতি উদ্যোগে শ্রীজৃত প্রায় ১০০ টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ অভিনব কায়দায় ধ্বংস করে দিয়েছে,স্থানীয় প্রভাবশালী অজয় ব্যানার্জি। রবিবার সকালে সতীঘাটা নতুন বাজারের সড়কের এই ধ্বংসের দৃশ্য দেখা মেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যশোর মনিরামপুর মহাসড়কে দুই কিনার দিয়ে সতীঘাটা থেকে কুয়াদা বাজার পর্যন্ত শ্রীজৃত আকাশমনি, চিকরাশি, বকাইনিম, অর্জুন, কৃষ্ণচূড়া, কাঁঠাল, আমড়া, আমলকি কদবেল, আরো বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করে বন বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতা সতীঘাটা নতুন বাজারে সড়কের কিনারাই প্রায় ১০০ শত বিভিন্ন ধরনের প্রজাতির গাছ ধ্বংস করা হয়েছে। যার মূল্য দশ বছর পরে দাঁড়াবে ১০ লক্ষ টাকা।
এই ঘটনার বিষয় কামালপুর বাজুয়াডাঙ্গা সামাজিক বনায়ন সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম খোকা, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কোষাধক্ষ আফসার আলীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, সতীঘাটা নতুন বাজারের সড়কের ২ কিনার দিয়ে শ্রীজৃত বিভিন্ন প্রজাতি গাছ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু কামালপুর ও বাজুয়াডাঙ্গা সামাজিক বনায়ন সমিতির কমিটিদের না জানিয়ে পালাক্রমে অভিনব কায়দায় এ গাছগুলো ধ্বংস করে দেয়। এই ঘটনার বিষয় গাছ ধ্বংসকারী অজয় ব্যানার্জীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার প্রয়োজনে আমি গাছগুলো কেটে দিয়েছি। পরিশেষ তিনি চলে যাওয়ার সময় তিনি বললেন তোমরা যা পারো আমাকে করে দিও। এই ঘটনার বিষয় স্থানীয় জনগণের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, মহাসড়কের কিনারে তার জমি আছে। এবং সেখানে সেই একটি পাকা ঘর নির্মাণ করছেন সেই কারণে তিনি এই শ্রীজৃত লাগানো বিভিন্ন প্রজাতি গাছ গুলো অভিনব কায়দায় কেটে ধ্বংস করে দিয়েছে । তবে এই গাছ ধ্বংসকারী কোন নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে নিজের ক্ষমতা বলে অভিনব কায়দায় এই গাছগুলো ধ্বংস করেন। প্রশ্ন উঠেছে এ ধুরন্ধর অজয় ব্যানার্জির খুটির জোর কোথায়?
এ ঘটনার বিষয়ে যশোর সদর উপজেলা সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব আব্দুল খালেক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শ্রীজৃত রোপনের গাছগুলো যারা ধ্বংস করেছে তার সঠিক বিচার হওয়া উচিত। এই ঘটনার ঘটনার বিষয় সামাজিক বনায়ন কমিটিবৃন্দরা তদন্ত-পূর্বক কর্তৃপক্ষ নিকট আশু- হস্তক্ষেপ কামনা করেন।