তহিদুল ইসলাম,নিজস্ব প্রতিবেদক প্রতিনিধিঃ
গত ১ই জুন আমাদের এ্যাম্বুলেন্স এর প্রথম সেবা শুরু হয় ফ্রীতে একজন প্রবাসীর মৃতদের ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে মণিরামপুর হরিহর নগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মুক্তারপুর গ্রামের আকবর আলীর মেঝ ছেলে,মালেশিয়ান প্রবাসী আব্দুল খালেকের মৃতদের পৌঁছে দেয়।
তথ্যসূত্র জানা যায় গত ২৬শে মে তিনি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। পরবর্তী গত ০১ জুন তার মরদেহ বাংলাদেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌছালে লাশের ভগ্নিপতি রেজাউল ইসলাম,আমাদের অ্যাম্বুলেন্স, সার্ভিস এর সাথে যোগাযোগ করে সেবাটি গ্রহণ করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও মৃতদেহের আত্মীয় স্বজনরা ডা. মেহেদী হাসান জনসাধারণের জন্য এমন মহাৎ সেবা দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দোয়া করেন।দ্বিতীয় প্রবাসীর মৃতদেহ ২ই জুন ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে খড়িঞ্চী গ্রামে পৌঁছে দেয় আমাদের অ্যাম্বুলেন্স,
খেদাপাড়া ইউনিয়নের খড়িঞ্চী গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে মো আবু সাঈদ।তৃতীয় সেবা মুক্তারপুর গ্রামের মহির উদ্দিন এর প্রবাসী ছেলে ইব্রাহিম হোসেন এর মৃতদের ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে নিজ গ্রামে পৌঁছে দেয়।৪র্থ তম মৃতদের
মাঝ লাউড়ি গ্রামের মোঃ সাইফুল্লাহ রহমানের প্রবাসী ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান এর মৃতদের ১২ই জুন ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে,শ্যামকুড় ইউনিয়নের মাঝ লাউড়ি গ্রামে পৌঁছে দেয়।৫ম সেবাঃ মণিরামপুর পৌর সভার মহনপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ বিশ্বাস এর কন্যা মোমেনা বেগম গত ১৮ই জুন যশোর নীলগঞ্জ ভাড়া বাড়িতে স্টক জনিত কারণে ইন্তেকাল করেন তার মৃতদের ১৮ই জুন যশোর থেকে মনিরামপুর আমাদের এ্যাম্বুলেন্স পৌঁছে দেন ৬ষ্টম সেবা জালালপুর দক্ষিনপাড়ার মৃত সামসুর
রহমানের পুত্র মোঃইকবল হোসেন,স্টক জনিত কারণে মালয়েশিয়ায় ইন্তেকাল করেন ১২জুলাই ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জালাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ফ্রীতে পৌঁছে দেন তার মৃতদের। এছাড়াও স্বল্প খরচে সেবা গ্রহণ করেছেন যারা:
পাচাকড়ির উজ্জ্বল মোল্যা, মকবুল হোসেন,জাকারিয়া, ইত্তার ইয়াইহা, বাকোশ পোল এ-র আসমা, শ্যামকুড় এর ফজলু, আটপাকিয়ার মেহেদী হাসান, চালুয়াহাটির তানজিম নাহার, পাচকাটিয়ার মরিয়াম, মিজানুর রহমান, গোপালপুরের তরিকুল ইসলাম, দূর্বডাঙ্গার অরপিয়াস, ঝাঁপার মরিয়াম, ফকির রাস্তার কামরুজ্জামান, রহিতার জান্নাতুল, দেলওয়ার, রেশমা, কুয়াদার আসাদুল, গৌরীপুরের রফিকুল ও তরিকুল ইসলাম, কুলটিয়ার ফাতেমা খাতুন, সাইদ, তরুলতা মন্ডল, মোবারকপুরের কাফির হোসেন, হামিদ গাজী, জয়পুরের আবু তাহের, মারিয়া আক্তার, চালকিডাঙ্গার হাসান আলী, দূর্গাপুরের শিলা খাতুন, সাতগাতীর ফাতেমা, পাড়দিয়ার তাহমিনা, ঢাকুরিয়ার আব্দুর রহমান, নেহালপুরের মরিয়াম, কাশিম নগর এ-র জেসমিন, জুড়ানপুরের সুরাইয়া খাতুন, বাঙ্গালীপুরের মুতালেব, চিনাটোলার মোস্তফা, দেবিদাশপুরের মেহেদী হাসান, লক্ষনপুরের তানজিলা,হাকোবা গ্রামের সাংবাদিক তহিদুল ইসলামের স্ত্রী, সহ ১শত ৩৮ জন অসুস্থ রুগী,৬ টি মৃতদের ফ্রী তে “আমাদের এ্যাম্বুলেন্স” এর সেবা গ্রহণ করেছে।এমন মহৎ কাজের জন্য মণিরামপুরের জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।এবিষয়ে নেহালপুর ইউনিয়নের ছাত্র লীগের আহ্বায়ক, মনিরুজ্জামান (সুমন)ও-যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম বাপ্পিবলেন আমার চোখে দেখা এই প্রথম জনসাধারণের জন্য একটা ভালো কাজ।
মণিরামপুরের বহু ধনীরা আছেন, নেতারা আছেন তারা কখনো জনগণের জন্য এমন চিন্তা করেনি।
মানবিক ডাঃ মেহেদী হাসান ভাই আমাদের জন্য জনগণের জন্য এমন একটি মহাৎ সেবা দিচ্ছেন, গত করোনা কালিন সময়েও তিনি মণিরামপুর বাসির পাশে ছিলেন।আমি তার মহৎ উদ্যোগের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
নেহালপুর ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন মণিরামপুরে বহু নেতা আছে, তারা জনগণের জন্য এমন একটি মহাৎ উদ্যোগ নিতে পারেনি।কিন্তু মানবিক ডাঃ মেহেদী হাসান ভাই রাজনৈতিক নেতা না হয়েও তিনি সেই মহারারি করোনা কালিন সময় থেকে মণিরামপুর উপজেলা বাসীর পাশে থেকেছেন।কি দেইনি তিনি,করোনা কালিন সময়ে ফ্রী অক্সিজেন সেবা,ট্রাক ট্রাক খাদ্য সামগ্রিক, চিকিৎসার নগত অর্থ, বর্তমানে একটি অ্যাম্বুলেন্স মনিরামপুর বাসির কল্যাণে মানবতার সেবায় নিয়োজিত আমাদের অ্যাম্বুলেন্স রাত দিন ছুটে চলেছে।যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলা সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন ভিন্ন রকমের সেবা।যে সেবাটি আদেও কখনো বাংলাদেশে চালু হয়নি।বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রুগীর পরিবার থাকে সর্বোচ্চ অসহায়।রুগীকেএক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিতে গেলে রুগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স কে দিতে হয় মোটা অংকের ভাড়া।সেখানে মণিরামপুর উপজেলার আমাদের অ্যাম্বুলেন্স নামে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তেল খরচে রুগী পৌঁছে যাবে নিদিষ্ট স্থানে।এমন সেবা পেয়ে যেমন হতবাক সাধারণ মানুষ তেমনি উপকারিতা পাচ্ছেন রুগীর পরিবার।মানবতার সেবাই নিয়জিত আমাদের অ্যাম্বুলেন্স টি শুধু মাত্র মণিরামপুর উপজেলা বাসীর জন্য একটি উপহার। উপহার টি দিয়েছেন ঢাকা
জাতীয় পর্যায়ের রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক প্রাপ্ত মানবিক ডাঃ মেহেদী হাসান।তিনি মণিরামপুর উপজেলার আগরহাটি গ্রামের জবেদ আলী বিশ্বাস এর ছোটো সন্তান,ও যশোর (০৫) আসনের সংসদ সদস্য এসএম ইয়াকুব আলীর ছোটো ভাই।তিনি গত করোনা কালিন সময়ে মণিরামপুর বাসির পাশে ছিলেন।খাদ্য সামগ্রিক থেকে শুরু করে চিকিৎসার খরচ পর্যন্ত দিয়ে মানবতার ডাঃ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন।এছাড়া করোনা কালিন তিনি করোনা আক্রান্ত রুগী কে রাতদিন দিয়েছেন সেবা।যেখানে করোনা আক্রান্ত রুগীর পাশে যেতে ভয় পেয়েছেন ডাঃ রা সেখানে তার চিন্তা ধারা ছিলো কিভাবে করোনা আক্রান্ত রুগী কে চিকিৎসা দিয়ে বাঁচানো যায়।করোনা কালিন সময়ে তিনি নিজের পরিবারের সাথেও দিতেন না সময়।সব সময় তার পরিবার কে বুঝাতেন করনা আক্রান্ত রুগী কে সুস্থ করে তোলা তার দায়িত্ব।