মোঃ ওয়াজেদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার:
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর সর্দারপাড়া লাভলু সরদারের স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে স্ত্রী দিলরুবার আপন বড় ভাইয়ের হাতে মারপিটের শিকার হয় এবং এ ঘটনায় সংবাদ পেয়ে মনিরামপুর থানার পুলিশ ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার বিকালে জয়পুর সরদারপাড়ার লাভলুর স্ত্রী পরকীয়ায় জেরে লম্পট বিলায়েত এই মারপিটের শিকার হয়। জানা যায় মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর সর্দারপাড়ার গ্রামের এজাহার আলী বড় ছেলে বাবলু সর্দারের সাথে ঢাকা গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানার দিলরুবা খাতুনের সাথে বিবাহ হয় পরে তার ঘরে তিন কন্যা জন্মগ্রহণ করেন। বাবলু সর্দার ও তার দিলরুবার তিন কন্যা নিয়ে সংসার করতে থাকেন, হঠাৎ দিলরুবার স্বামী বাবলু সর্দার মারাত্মক অসুস্থ হয়ে তিন কন্যা রেখে মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর ৩ কন্যাসহ তার ছোট ভাই লাভলুর পরিবার সাথে দিলরুবার বিবাহ দেয়। কিছুদিন পর স্বামী স্ত্রী কন্যাসহ ঢাকা গাজীপুর কালিগঞ্জ লাভলু তার শ্বশুর বাড়ি চলে যান। সেখানে কয়েক বছর সংসার করার পর স্বামী লাভলুর সরদারের স্ত্রী দিলরুবা গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানার বিলায়েত হোসেন (৪০) এর সাথে পরকীয়ার শিকার হয়। এই ঘটনায় স্বামী লাভলুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার স্ত্রী দিলরুবা পরকীয়ার শিকার হলে, তাৎক্ষণিক লাভলু তার স্ত্রীর বড় ভাইয়ের কাছে বিষয়টি জানান। এ ঘটনায় দিলরুবার বড় ভাই বজলুর রহমানের কাছে ঘটনাটির বিষয় জানান এবং তিনি আপস মীমাংসা করে দেন। তখন দিলরুবা কিছুদিন যাওয়ার পর পরকীয়া স্বামী বেলায়েত হোসেনর কু পরামর্শে অভিনব কায়দায় স্বামী লাভলুকে রাতে কৌশলে চেতনানাশক ঔষধ সেবন করিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। স্বামী এই ওষুধ সেবনের পর মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক স্ত্রী পরিবার ঢাকা হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিছুদিন চিকিৎসার পর লাভলুর পিতা এজাহার আলী সরদার ঢাকা থেকে মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর নিজ বাড়িতে আনার সময় পথিমধ্যে লাভলুর স্ত্রী দিলরুবার পরকীয়া স্বামী বেলায়েতকে অভিনব কায়দায় সোমবার সকালে সঙ্গে নিয়ে শশুর বাড়ি জয়পুর গ্রামে নিয়ে আসেন। ৬ জুন মঙ্গলবার সকালে তাদের আলাপ চলাফেরায় লাভলু ও তার পরিবারের সদস্যরা সন্দেহজনক হলে তাৎক্ষণিক এ ঘটনা দিলরুবা খাতুনের বড় ভাইকে জানান। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঢাকা থেকে তার বড় বজলুর রহমান দ্রুত প্রাইভেটকার নিয়ে মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামে চলে আসেন এবং হাতেনাতে তাদের দুজনকে ধরে ফেলেন। তার ভাই বজলুর রহমান এবং তার বোন দিলরুবার পরকীয়ার স্বামীকে মারধর করেন। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে মণিরামপুর থানার এসআই দেবব্রত ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন। এ ঘটনার বিষয় মনিরামপুর থানার এস আই দেবব্রত দিলরুবা ও তার পরকীয়া স্বামী বেলায়েতের কাছে এ ঘটনার বিষয় জিজ্ঞাসা করেন, যে এ ছেলেটি তোমার কি হয় তখন তারা বলেন, দিলরুবা বলে আমার ভাগ্নে বেলায়েত বলে আমার মা। তবে তাদের কথাবার্তা মধ্য দ্রব্য জলের সৃষ্টি হয়। তারপরে এস আই দেবব্রত তাদেরকে বলেন আপনারা থানায় একটি অভিযোগ করেন। এই বলে থানা পুলিশ ঘটনার স্থান ত্যাগ করেন। পরে দিলরুবার ও পরকীয়া স্বামী বেলায়েত হোসেন মটরভ্যান যোগে থানার উদ্দেশ্যে রওনা হন।