মনিরামপুরে এমপির ওপর হামলার চেষ্টা

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 4 months ago
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি:

যশোরের মনিরামপুর-৫ আসনের সংসদ-সদস্য এসএম ইয়াকুব আলীর ওপর হামলার চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। হামলায় বাধা দিতে গিয়ে সংসদ-সদস্যের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রদানকারী ও ডিএসবির এক এএসআইসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হুসাইন, সহকারী পুলিশ সুপার আবু দাউদসহ স্থানীয় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত গরিব ও দুস্থ রোগীদের মধ্যে চেক বিতরণের অনুষ্ঠান ছিল শনিবার। অনুষ্ঠান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

হামলাকারীরা সবাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অনুসারী বলে পরিচিত। তবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু দাবি করেন, তার অনুসারীরা এ ঘটনায় জড়িত নয়; বরং প্রতিপক্ষরা তার তিন কর্মীকে মারধর করেছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা হলেন যশোর-৫ মনিরামপুর আসনের সংসদ-সদস্য ইয়াকুন আলীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ডিএসবির এএসআই,ফিরোজ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম বাপ্পী হুসাইন, আবু সালেহ ও রিয়াদ হোসেন। এর মধ্যে নিরাপত্তা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। উপজেলা পরিষদ হলরুমে সমাজসেবা অধিদপ্তরের বরাদ্দকৃত চেক বিতরণের অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায় প্রধান অতিথি ইয়াকুব আলীর বক্তব্যের শুরুতে হলরুমের বাইরে হট্টগোল শুরু হয়।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত কিছু সন্ত্রাসী হলরুমের দরজা ধাক্কাধাক্কি করে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় দরজার কাছে থাকা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম বাপ্পী হুসাইন, আবু সালেহ ও রিয়াদ হোসেনকে মারধর করে ভেতরে ঢুকে গোলযোগ করে। সন্ত্রাসীরা ভেতরে ঢুকে সংসদ-সদস্য এসএম ইয়াকুব আলীর ওপর হামলা করতে পারে এ আশঙ্কায় তার (সংসদ-সদস্য এসএম ইয়াকুব আলী) ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের সাবেক এসআই শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে

যান। শহিদুল ইসলামকে পেয়ে তার ওপর হামলে পড়ে সন্ত্রাসীরা।

এ সময় তাকে মারধর করাসহ পদদলিত করা হয়। একই সময় সরকারি কাজে দায়িত্ব পালনকারী ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেনকে মারধর করা হয়। ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংসদ-সদস্য এসএম ইয়াকুব আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ ঘোষের ওপর হামলার বর্ণনা দেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তন্ময় কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় সংসদ-সদস্য ইয়াকুব আলীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেনসহ পাঁচজন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সংসদ-সদস্য এসএম ইয়াকুব আলী বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতির মধ্যে যারা এ ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে পারে না। যারাই এ ঘটনায় জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদি মাসুদ বলেন, তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

error: Content is protected !!