মুহাঃ মোশাররফ হোসেন:
ঘুঘুদাহ সরকারি প্রথমিক বিদ্যলয়ের ৫ ম শ্রেণিতে পড়ুয়া বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ভরতপুর গ্রামের রাখি মন্ডল(১৩) ধর্ষণের স্বীকার হয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্ব।
এ বিষয়ে ধর্ষণের স্বীকার রাখি মন্ডল জানায় ঘুঘুদাহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী বাচ্চু দাস স্কুল ছুটির পর ভয় দেখেয়ি দুই গালে থাপ্পড় মেরে তার সাথে জোর পূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে।বিষটি ধামাচাপা দিতে স্কুলের শিক্ষক, ও শিক্ষিকা-,রা রাখি মন্ডল বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ার কৌশলে তাকে বুঝিয়ে বাচ্চুর বিপক্ষে ভিডিও ধারণ করে।এবিষয়ে রাখি মন্ডলের মা গণমাধ্যম কে জানায় আমার অভাবের সংসারে তিন সন্তান কে মানুষ করতে পারছিলাম না।আমার কাকা সুনিল দাস নির সন্তান হওয়ার রাখি মন্ডল ৬ বছর বয়সে দত্তক নেই।সেই থেকে আমার মেয়ে আমার কাকার বাড়িতে থাকে।আমার কাকা সেই সুবাদে আমার মেয়ের সাথে খারাপ কিছু করেছে।
কিন্তু গ্রাম বাসীর সুত্রে জানাযায় স্কুল দপ্তরী বাচ্চু দাস ঘটনার জানাজানি হতেই বাচ্চু দাস রাখি মন্ডলের মা পাখি মন্ডলের বাড়িতে যেয়ে টাকার বিনিময়ে মিমাংসা করার চেষ্টা করছে।যে কারনে মেয়ের উপরে ঘটে যাওয়া ঘটনা উল্টাতে কাকা কে দ্বায়ী করছেন।ঘটনার জানাজানি হলে যশোর র্যাব ৬- সিপিসি ৩ ও মণিরামপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে অভিযুক্ত পালিত দাদু নিমাই মন্ডল, ও বাচ্চু দাস কে আটক করে যশোর আদালতে পাঠিয়েছেন।এবিষয়ে মামলার দায়িত্বে থাকা এসআই সোহান জানায় র্যাব ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে অভিযুক্ত দুই আসামী কে আমরা আটক করেছি।ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়েছে।ভিকটিমের ডাক্তারী পরিক্ষা নিরীক্ষা করার পর জানাযাবে প্রকৃত দোষী কে।আসামী আটকের পর এলাকার সাধারণ মানুষ প্রশাসন কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে প্রকৃত দোষী কে কঠোর শাস্তি দাবী করেন।
প্রকৃত দোষীকে আটক করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী