দুই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে পিটিয়ে একজনের হাত ভেঙে দিয়েছে যশোরের মণিরামপুর থানা-পুলিশ। সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যের ছবিতে কালি লেপে দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ বলছে, সরকারি সম্পদ নষ্টের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার(১১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বেলালুর রহমান (২৮) ও মাছনা গ্রামের ইকবাল হোসেন। এর মধ্যে বেলালুর রহমানের বাম হাত ভেঙে গেছে।
আটক দুই যুবককে মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার দুপুরে তাঁদের স্বজনসহ শতাধিক বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষ থানা
-চত্বরে অবস্থান নেন। পরে পুলিশের বাধার মুখে তাঁরা থানার ফটকে অবস্থান নেন।
আটক দুই যুবকের পরিবারের দাবি—মিথ্যা অভিযোগে সন্দেহজনকভাবে পুলিশ তাঁদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পলাশ কুমারের কক্ষে ঢুকিয়ে দরজা আটকে বেলালুরকে মারধর করা হয়েছে। পলাশ কুমার নিজে ওকে পিটিয়েছেন। এতে বেলালুরের বাম হাত ভেঙে গেছে।
বেলালুরের ছোট ভাই বোরহানুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাই ঢাকায় লেখাপড়া করার সময় ছাত্রলীগ করতেন। ৩-৪ বছর হবে লেখাপড়া শেষ করে তিনি এলাকায় এসেছেন। গত ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলেন। কে বা কারা স্বপন ভট্টাচার্যের ছবিতে কালি লেপে দিয়েছে। পুলিশ এখন আমার ভাইকে সন্দেহ করে, ধরে এনে নির্যাতন করেছে। বেলালুরের বাবা নূর আলী বলেন,, ‘গোপালপুর বাজারের ঘুঘুদহ সড়কে বারের ওপরে দুই পাশে স্বপন ভট্টাচার্যের ছবি সাঁটা আছে। ঈদের আগের দিন রাতে সেই ছবিতে কালি দেওয়ার অভিযোগে সন্দেহমূলকভাবে আমার ছেলেকে ধরে এনে পুলিশ মারপিঠ করে ছেলের হাত ভেঙে দিয়েছে।
এ বিষয়ে খানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন,‘স্বপন ভট্টাচার্যের ছবিতে কালি লেপে দেওয়ার অভিযোগে সন্দেহ করে পুলিশ বেলাল ও ইকবালকে ধরে এনেছে। থানায় এনে পুলিশ ওদের মারপিট করেছে। এতে বেলালুরের একটি হাত ভেঙে গেছে।’
এ বিষয়ে মরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ,বলেন, দুই যুবকের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ নষ্টের অভিযোগে মামলা হয়েছে।’