মণিরামপুরে ‘ভাইরাস’ ব্যবসায়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 9 months ago
Exif_JPEG_420

মোঃ এমদাদুল হক :

যশোরের মণিরামপুরের উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের  নারী, পুরুষ ও কিশোরদের উপার্জনের মাধ্যম এখন রেইনট্রি গাছের ‘ভাইরাস’। প্রতিদিন তারা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পযর্ন্ত গাছ থেকে ভাইরাস সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নে এই কাজে জড়িতরা
ভোর হতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এরপর সাদা বর্ণের ভেতর লালচে রঙের ভাইরাসযুক্ত ডালের সন্ধান করেন। যে গাছের ডাল সংক্রমীত বেশী, সেই ডাল ততো বেশি দামে গাছের মালিকের কাছ থেকে কেনেন তারা। ভাইরাসযুক্ত গাছের ডাল স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি ৫০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এরপর পিকআপ অথবা ভ্যানে করে চলে যাচ্ছে পাইকারি আড়তে। এই এলাকার বেকার যুবকরাও এ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। প্রথমে সংক্রমিত গাছের ডাল দর কষাকষির মাধ্যমে গাছের মালিকের সাথে দাম ঠিক করে নেয়া হয়। পরে গাছ থেকে ডাল কেটে বাসায় এনে ডাল থেকে ভাইরাস ছাড়ানো হয়।
ভাইরাস ছাড়ানোর পরে ওই ডাল বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। বিক্রির উপযোগী হলে বস্তায় করে নওপাড়া বাজারে নিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত বিক্রি করা হয়।এই ব্যবসার সাথে জড়িত আলামিন হোসেন বাচ্চু। সেকেন্দার আলী। সহ অনেকেই জানান, ঢাকুরিয়া, তারুয়া পাড়া , ভবানীপুর, চাঁনদুয়া, বারপাড়া, বোয়ালিয়া এলাকার বিভিন্ন স্থানের (রেইনট্রি) গাছ দেখে আসি। যেসব গাছে ভাইরাস হয়েছে সেগুলো থেকে সংক্রমিত ডাল কেটে ভ্যানে করে বাড়িতে এনে ভাইরাস ছাড়িয়ে বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যাই। শুরুর দিকে এই ভাইরাস ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা পযর্ন্ত বিক্রি হলেও দাম কমেছে এখন।এই ভাইরাস কী কাজে ব্যবহার হয় এমন প্রশ্নের জবাবে একজন আড়ত ব্যবসায়ী বলেন, আমরাও সঠিক জানি না। তবে লোকমুখে শুনেছি এটা দিয়ে আসবাবপত্রে রং করার কাজে উন্নতমানের আঠা বা গালা তৈরি করা হয়ে থাকে।
error: Content is protected !!