মণিরামপুরে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে বেরিয়ে এলো প্রাচীন স্থাপনা

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 9 months ago

মোঃ এমদাদুল হক:
যশোরের মণিরামপুরের উপজেলার ৩ নং ভোজগাতী ইউনিয়নের দোনাহার গ্রামের  ঢিবিতে প্রত্নতাত্ত্বিক কাজ চলমান রয়েছে । জানা যায়। এই দম দমের পাসে।  ছোট বাচ্চা দের  শিক্ষা দানের জন্য সরকারী থেকে বরাদ্দ দেওয়া  মক্তব তৈরি করার সময় পাসে থাকা উঁচু মাটির ঢিবি থেকে মাটি খুঁড়তেই দেখা মিলে প্রাচীন কালের ছোট কক্ষ । পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা বিষয়টা আমলে নিয়ে উঁচু ঢিবি টি খুড়ার আদেশ প্রদান করেন।
পরে যতই খোঁড়া হয় ততোই ছোট ছোট ছাদ বিহীন কক্ষের দেখা মিলতে থাকে। এ সময় ওইখানে সার্বিক দায়িত্ব রত থাকা। মোঃ মুজিবুর রহমান ৫৫ । জানান। এইখানে উঁচু ঢিবির পর দিয়ে গ্রামের মানুষ হাঁটাচলা করলে ঢপ ঢপ শব্দ হয় তারপর থেকে এই জায়গার নামকরণ করা হয়েছে দম দম পীরের ঢিবি। কখনো কোনদিন এইখানে কোন পীর ছিল কিনা সেটা মুজিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি আমার বাপ দাদার কাছ থেকেও কোনদিন শুনেনি এখানে কোন পীর ছিল। তবে স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইলে বলেন ।
দমদম পীরের ঢিবি  সভ্যতাটি প্রায় ১৮শ বছর আগের প্রাচীন। ২০০৪থেকে ২০০৫ সালে সরকারি ভাবে প্রথম খনন করা হয় এই ঢিবি কে। মনন কালোদা বিহীন ৮ টি পর্নাক বাবিষ্কৃত হয়। ২০০৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মোট কক্ষ পাওয়া যায় ১৮টি। তবে এ ধরণের এটি বাদে আরো দুই টির সন্ধান পাওয়া যায়। সেটা হলো। উপজেলার খেদাপাড়া অঞ্চলের ধনপোতা ঢিবি । ও কেশবপুর থানাধীন। ভরতভায়না। গ্রামে অপর একটি। এগুলাতে খননকাজের সময় পাওয়া।  গেছে মৃৎপাত্র, পাথরের টুকরা, বাটি, জ্বালানো প্রদীপ, পশুর হাড় ও লোহার  পেরেক সহ ছোট ছোট আরও অনেক কিছু। এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের দল বলছে, দোনার ঢিবিতে পাওয়া ইটের সঙ্গে কেশবপুরের ভরতভায়নার ভরতের দেউল এবং মণিরামপুরের ধনপোতা এলাকার  ঢিবির ইটের সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান তারা।
error: Content is protected !!