নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মণিরামপুর উপজেলার হরিণা গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আনুমানিক আহত ১৬ জন নেতা কর্মী, সংঘর্ষ ঘটনায় জয়ন্ত রায় (৩০) পিতা-গোবিন্দ রায়, সাং-হরিনা,বাদী হয়ে মণিরামপুর, জেলা-যশোর থানায় হাজির হয়ে ১৬ জনের নামে অভিযোগ করেন।
১। নিপংকর কুমার রায়(৫২), পিতা-নিতাই প্রসাদ রায়, ২ সুনিল বিশ্বাস(৪৮), পিতা-মৃত কালিপদ বিশ্বাস,৩। সবুজ রায় (৪২) পিতা-সুশান্ত রায় ৪। মনিষ সরকার(৪০), পিতা-নির্বজন সরকার, ৫। নিত্য বিশ্বাস। ৩৬), পিতা-সুনিল বিশ্বাস, ৬। মাধব রায়(৩৮) পিতা-প্রশান্ত বায়, ৭। সঞ্জয় রায় (৩৫), পিতা-প্রশান্ত রায়, ৮ প্রানেষ বিশ্বাস (৪০) পিতা-সুনিল বিশ্বাস, ৯। মোহন বিশ্বাস(৩৮), পিতা-মৃত সুপন বিশ্বাস, ১০। মুনাল বিশ্বাস (৪৮) মৃত মুকুন্দ বিশ্বাস, ১১ বিকাশ বিশ্বাস (৪৫), পিতা-বীরেশ্বর বিশ্বাস, ১২। তরুন বিশ্বাস (৪২), গিতা-কালাচাদ বিশ্বাস, ১৩। প্রণয় বিশ্বাস (৩০), পিতা-রামপদ বিশ্বাস, ১৪। নারায়ন বিশ্বাস(৫৫), পিতা-মৃত বটকৃষ্ণ বিশ্বাস, ১৫। মনিশংকর রায় (৩৮), পিতা-গিরিন্দ্রনাথ রায়, ১৬। ভবতোষ রায় (৪০), পিতা-অভিমান্য রায়, সর্ব সাং-হরিণা থানা-মণিরামপুর, জেলা যশোরদের বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সুত্রে তিনি বলেন উল্লেখিত আসামীরা আমার গ্রামবাসী। বিবাদীদের সহিত হরিনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত ও স্বরসতী পূজার খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিবোধ সৃষ্টি হওয়ার কারণে আসামীরা আমাকে প্রতিনিয়ত মারপিট করার ও খুন জখমের হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছিল।
উক্ত বিরোধ এর জের ধরিয়া গত ইং ১৪/০২/২৪ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫:০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত আসামীরা ধারাল দা, লোহার রড, জিআই পাইপ এবং ক্রিকেট খেলার ট্যাম্প নিয়া অবৈধ জনতাবদ্ধে মণিরামপুর থানাধীন হরিনা হাই স্কুলের সামনে দোকানের মধ্যে প্রবেশ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমি আসামীদের পালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ১নং আসামী ধারাল দা দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় কোপ মারিয়া মাথার সামনে ডান পাশে রক্তাক্ত কাটা জখম করে এবং ২নং বিবাদী আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে বাড়ি মারিলে আমি বাম হাত দিয়ে ঠেকাইলে আমার বাম হাতের কুনুই লাগিয়া রক্তজমাট আঘাত পাই।
আমি মাটিতে পাড়ে গেলে আসামীরা আমাকে এলোপাতাড়ীভাবে লোহার রড় দিয়ে বাড়ি মারিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফোলা জখম করে।
ঐ সময় অমল কান্তি বিশ্বাস, পবিত্র রায়, মেঘনাথ বিশ্বাস, সাধণ রায়, অর্চনা বিশ্বাস, সুজয় রায়, নেব্রত বিশ্বাস, সম্রাট বিধান, নাখব রায়, সঞ্জিত রায়, টনিক, ঠেকাইতে আসিলে ০৬নং আসামী লোহার রড দিয়ে পরিত্র রায়কে বাড়ি মারলে তার বাম হাতের কুনুইতে হাড় ভেঙে যায়, এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে। ০৩নং আসামী ধারালো দা দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে মেঘনাথ বিশ্বাসের মাথায় কোপ মারিয়া মাথার মাজখানে রক্তাক্ত জখম করে।
অতিরিক্ত রক্ত খননের কারনে মাটিতে পড়ে গেলে সকল আসামীরা লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে লোহার রড দিয়ে বাড়ি মারলে শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে। ৩৮নং আসামী লোহার রড দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে অর্চনা বিশ্বাসের মাথায় বাড়ি মারিলে তার কপালের বাম পাশে লাগিয়া রক্তাক্ত জখম হয়। তখন ০৪নং আসামী লোহার রড দিয়ে অর্চনা বিশ্বাসের নাকে বাড়ি মারিয়া নাকের হাড় ভলো জখম হয়। সে মাটিতে পড়ে গেলে সকল আসামীরা লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ীভাবে বাড়ি মারিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে।
৩২নং আসামী লোহার রড দিয়ে খুন করার উদ্দেশে। সাধণ রায় এর মাথায় বাড়ি মারিলে উক্ত বাড়ি হাত দিয়ে ঠেকাইলে গেলে তার ডান হাতের আঙ্গুল ফাটিয়া রক্তাক্ত জখম হয় এ সময় ১৩নং আসামী সাধন রায় কে লোহার রড দিয়ে ডান পায়ে বাড়ি মারিয়া রক্তাক্ত জখম করে।
১-৫নং আসামী লোহার রড দিয়ে সাবেক মেম্বর সঞ্জিত রায়কে বাড়ি মারিলে তার বাম হাতের বৃদ্ধ আংগুলে লাগিয়া হাড় ভেঙে যায়, ও কাঁটাছেড়া জখম হয়। আসামী সবুজ ও সুনীল আমার দোকানে প্রবেশ করিয়া দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ১,৫০,০০০/- টাকা নিয়ে নেই।এ সময় আমাদের ডাকচিৎকারে আশপাশ হইতে ১ মনোরঞ্জন বিশ্বাস (৫৫) পিতা-মৃত সুযোল বিশ্বাস,২। বর্না বিশ্বাস(৪৪), পিতা-মৃত কালিপদ বিশ্বাস, ৩। মনিমোহন রায়। ৩৬)পিতা-বিধান রায়, ৪ সুশিল বিশ্বাস্য ৬০), পিতা-মৃত কালিপদ বিশ্বাস, সর্ব সাং-হরিনা, থানা- মণিরামপুর, জেলা, যশোরসহ আরও অনেকেই ঠেকাইতে আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা আমাকে খুন জখমের হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদান কবিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে আহতদের অ্যামবুলেন্সে যোগে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। মেঘনা বিশ্বাস ও অর্চনা বিশ্বাস এর অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল যশোর রেফার্ড করে।
এবিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্যের কর্মী দিপক মন্ডল সহ বেশ কয়েক জন কর্মী জানায় আমরা কারো উপরে হামলা বা মারপিট করিনাই,তারাই আমাদের ৪ কর্মী কে মারপিট করে আহত করেছে।৪ জন আহত হলেও ঘটনার ৫ ঘন্টা অতিক্রম করলেও দেখা মেলেনি চিকিৎসা নিতে মণিরামপুর হসপিটালে।
এবিষয়ে হরিণা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষক মিহির কান্তি রায় বলেন, সরস্বতী পূজায় এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের দাওয়াত দেওয়া হয়।এবং সর্বসাধারণের উপস্থিতিতে পূজা শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়।
পূজা শেষ করে আমরা বাড়িতে যাওয়ার পর শুনি দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, পুলিশ ঘটনা স্থানে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। মণিরামপুর থানা ইনচার্জ এবিএম মেহেদী মাসুদ জানায়, আমরা সংঘর্ষের ঘটনার খবর শুনে দ্রুত ঘটনা স্থানে যায়,আহতদের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহন করেছে।আমরা আজ অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগ সুত্রে তদন্ত মূলক অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।