নিজস্ব প্রতিবেদক :
মণিরামপুরে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাই খাতুন (১২) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এমনটাই দাবী পিতা,ও সৎ মায়ের।কিন্তু নানি রিজিয়া বেগম,ও নানা কওছার আলি সরদারের দাবী সুমাইয়া খাতুন (১২) কে তার সৎ মা,ও সৎ নানি তাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
তার নানা কওসার আলি সরদার গণমাধ্যম কে জানায়, আমার মেয়ের সাথে ২৩ বছর পূর্বে একই গ্রামের,নকুল বিশ্বাস এর মেঝ ছেলে বাবর আলী বাবুর সাথে ইসলামি সরিহত অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সুখের সংসারে দুই পুত্র,হৃদয় হোসেন (২২) সুমন হোসেন (১৫) ও এক কন্যা সন্তান সুমাইয়া খাতুন (১২) জন্ম নেয়।এর মাঝেই পারিবারিক কলহের জ্বের ধরে সুমাইয়া দুই বছর বয়সে তার তার পিতা তাদের কে ছেড়ে চলে যায়।দীর্ঘ ১০ টি বছর স্ত্রী সন্তান কে করেন না দেখভাল।এর মাঝেই গত তিনমাস পূর্বে সুমাইয়া খাতুন কে তার সৎ নানি এসে চালুয়া হাটী ইউনিয়নের মোবারক পুরে নিয়ে যায়।আজ দুপুর তিনটার দিকে আমরা খবর পাই আমার নাতনি সুমাইয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি খবর শুনে ছুটে আসি মোবারক পুরে, এসে দেখি আমার নাতনির মরদেহ। আমার নাতনি কে তার সৎ মা ও নানি তাকে হত্যা করে আড়াই ঝুলিয়ে দিয়েছে।আমর নাতনি সুমাইয়া এখনো অবুঝ সে আত্মহত্যা কি বুঝে না,সে আত্মহত্যা করেনি।আমি আমার নাতনি হত্যার বিচার চাই।আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি,আপনারা সুস্থ তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তি দিন।আমি ভ্যান চালিয়ে সুমাইয়ার দুই ভাই হৃদয়, ও সুমন কে বড়ো করেছি।
সুমাইয়াকেও আমি কোলেপিঠে করে মানুষ করেছি মাদ্রাসায় ভর্তি করেছিলাম।মাত্র দু তিন মাস আগে ওর সৎ নানি বোরোই খাওয়ানোর কথা বলে আমার বাড়ি থেকে নিয়ে আসে।এবিষয়ে অত্র এলাকার নানার রকমের জল্পনা কল্পনা বিরাজ করছে।এবিষয়ে মণিরামপুর থানা ইনচার্জ এবিএম মেহেদী মাসুদ জানায়।আমি খবর পেয়ে ঘটনা স্থান মোবারক পুরে পুলিশ পাঠিয়ে সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।কি কারনে সুমাইয়ার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে জানাযাবে।