মোঃ ওয়াজেদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার :
যশোর মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের গাবুখালী গ্রামের শওকত গাজীর ছেলে ফারুক গাজী (৪৫) ও তার স্ত্রী সুমি বেগম (৩৪) গাবুখালী বাজারে ডাক্তার দেখাতে এসে মারপিটের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়ে মণিরামপুর হাসপালে ভর্তি হয়েছেন।
এই মারপিটের ঘটনায় ফারুক গাজী বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আসামীরা হলোঃ গাবুখালি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর দুই ছেলে বজলুর রহমান (৫০), নজরুল ইসলাম(৫৫), এবং নজরুল ইসলাম এর ছেলে হিল্লাল গাজী(৩৫), ও রোস্তম গাজীর ছেলে সাইফুল ইসলাম(৩২), আনছার আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৪০)।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফারুক গাজীর সাথে আসামিদের জমি জমার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল যা আদালতে বিচারধীন রয়েছে। গাবুখালী বাজারে ১৬ তারিখ বৃহস্পতিবার রাত ৮টার সময় ফারুক গাজী ও তার স্ত্রী ডাক্তার দেখাতে আসলে বজলুর রহমানের নেতৃত্বে সঙ্গবদ্ধ হয়ে দেশি অস্ত্র বাঁশের লাঠি নিয়ে ৫/৭ জন ফারুক গাজীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফারুক গাজী মাথায় গুরুতর আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার স্ত্রী সুমি বেগম স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মধ্যযুগীয় কায়দায় বজলুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, তার পরনের কাপড় ছিড়ে ফেলে এবং শীতলহানি ঘটনা ঘটে ।
আসামিরা বজলুর ইসলাম মাথায় আঘাত করলে সুমি বেগম মাটিতে লুটিয়ে পরে। সুমি বেগমের যা পলি বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক মারপিট করে। খুন করার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যাই স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি হয়। চিকিৎসা নেয় শনিবার তাদের অবস্থা গুরুত্ব হওয়াই যশোর ২৫০ শস্য হসপিটালের নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
এই বিষয়ে ফারুক গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বাজারে এত গুলি মানুষের মধ্যে আমাকে আর আমার পরিবারকে নির্মম নির্যাতন করেছে,, তারা খুবই ভয়ংকর ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না। তার মাথায় আটটি সেলাই দিয়েছে। এবং তার স্ত্রীকে অমানবিক নির্যাতন করেছে তাকে বারোটি সেলাই দিয়েছে । আসামিরা তাদেরকে বাঁচতে দেবে না। অভিযোগ দিয়েছি থানায় কিন্তু পুলিশ এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি,বলে জানান। তবে সুশীল সমাজ এমন অন্যায় মেনে নিতে পারছে না। প্রশাসনের কাছে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানিয়েছে তিনি।
এ বিষয়ে এ এসআই শ্যামল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন থানায় অভিযোগ হয়েছে তারা তদন্ত শুরু করেছে।