মছদ্দর আলী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে ও নেই কোন তালিকায় নাম
লেখক:
Rakib hossain প্রকাশ: 2 months ago
তুহিনুর রহমান তালুকদার ,স্টাফ রিপোর্টার হবিগঞ্জ :
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ৮ নং সদর ইউনিয়নের হালিতলা বারইকান্দি গ্রামের প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধা এবং প্রবীন ও সিনিয়র সাংবাদিক হবিগঞ্জ জেলার সাবেক প্রেসক্লাব প্রতিষ্টাতা সভাপতি এবং নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব সদস্য মোঃ মছদ্দর আলী সনদপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধা হলেও তিনি তালিকা থেকে বাদ পরেছেন। তিনি বিগত ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন।
১৯৭১ ইংরেজী সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে শেরপুর পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে জড়িত ছিলেন। যুদ্ধ চলাকালে তিনি ৫ং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে নিয়োজিত থেকে যুদ্ধ করেছেন। এই ৫নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মীর শওকত আলী,ও মেজর ছালেহ আহমেদ, এসিস্ট্যান্ট কমান্ডার ছিলেন দ্বীন মাম্মদ ৫ নং সাব সেক্টর টেকের ঘাট । তিনির প্রকৃত সহযোদ্ধারা হচ্ছেন, যাদের নাম লাল মুক্তিবার্তায় বা ভারতীয় তালিকায় রয়েছে। শ্যামা প্রসন্ন দাশ গুপ্ত ( বিধুবাবু), শাহ ফজর আলী, জালাল উদ্দীন সিদ্দীকি, ও তাজ উদ্দিন আহমদ। তিনি অভাবের তাড়নায় ১৯৮০ সালে ইরানে গমন করেছিলেন। তিনি ইরান ও আজার ভাইজারে দীর্ঘ ৩০ বছর পর্যন্ত প্রবাসে কাটিয়েছেন। এই জন্য তিনি মুক্তিযুদ্ধের তালিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ২০০৯ সালে দেশের বাড়িতে তিনি ফিরে আসেন। মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে গত ১৯/০২/ ২০১৭ সালে তিনি লিখিত আবেদন পেশ করেছিলেন। কিন্তু তিনি শারীরিক অসুস্থতা ও কানে না শুনার কারনে মানিত সাক্ষীদের নিয়ে সরজমিনে উপস্হিত করাতে পারেন নি।
উনার কানের মারাত্বক সমস্যা ছিল। তিনি কানে শুনেন নাই, কেউ কোনো কিছু জোরে কথা বললে ও কিছুই বুঝেন না। এই জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে তিনি কিছুই করতে পারেন নি।
পরবর্তীতে তিনি পূনরায় আপিল করেছিলেন। কিন্তু আপিল করার পরে কোনো কিছু জানা হয়নি। মোঃ মছদ্দর আলী আনসার প্রশিক্ষক ও নবীগঞ্জ থানা কমান্ডার হিসেবে তিনি দীর্ঘ দিন যাবত দায়িত্ব পালন করেছিলেন । তিনির বয়স ৮৫ বছর হয়। বর্তমানে তিনি শয্যাগত অবস্হায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন ।