কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমামঃ
এ যেন উল্টো পূরানের গল্পের কাহিনী র মতো অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমে। এখানে আজ পঞ্চায়েত গঠন করা নিয়ে চাপা উত্তেজনা ছিল আগে থেকেই। এই উত্তর কুসুম অঞ্চলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফলাফল হিসেবে দেখা যায় যে মোট ২৯,টি, আসন। সেখানে তৃনমূল দল পায় ১২,টি, আসন। এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষে যায় ১১,টি, আসন এবং আই এস এফ পায় ৪,টি, আসন এবং সি পি আই এম পায় একটি আসন এবং নিরদল সদস্য ছিল একটি আসনে। পঞ্চায়েত গঠন করা নিয়ে যাতে সমস্যা দেখা না যায় তার জন্য চারটি আই এস এফ এর সদস্য এবং একজন নিরদল সদস্য চলে যায় ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষে। এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষে প্রধান হবার কথা ছিল ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের মগরাহাট পশ্চিমের সাবেক বিধায়ক ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা প্রায়ত আবুল বাশার লস্কর স্ত্রী মাসকিনা মমতাজ বেগম এর। এবং উপপ্রধান গঠন করা নিয়ে যাতে না সমস্যা না হয় তার জন্য আই এস এফ ও সি পি আই এম সমর্থন করে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষে। এবং মাসকিনা মমতাজ বেগম কে প্রধান হিসেবে মেনে নেন। কিন্তু মগরাহাট পশ্চিমের রাজনীতি খালায় সাবেক উত্তর কুসুম অঞ্চল প্রধান কুতুবউদ্দিন লস্কর কে প্রধান না করার জন্য প্রথম থেকেই মাটে নামে মগরাহাট পশ্চিমের বর্তমান বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা র সমর্থন করা সদস্যরা। এবং ভিতর থেকে তারা উপপ্রধান পাবার জন্যে বর্তমান মগরাহাট পশ্চিমের ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সামশুল হুদা লস্কর এর সাথে বৈঠক করেন এবং তাদের কে উপপ্রধান দিয়ে দেন। এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে তৃনমূল দলের উপপ্রধান হয় এবং তৃনমূল দলের সমর্থন নিয়ে মগরাহাট পশ্চিমের উত্তর কুসুম অঞ্চল প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন মাসকিনা মমতাজ বেগম। যা কিনা পশ্চিম বাংলা র রাজ্যের রাজনিতিতে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। এখন তৃনমূল দলের এ টিম ও ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা মিলেমিশে একাকার । এবং সবুজ রঙের আবিরে মাতোয়ারা।