ভালুকা উপজেলা প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ভালুকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন, হামলা, ভাঙচুর, মারপিট ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানহ প্রায় ৯ জন আহত হয়েছেন। তাদের মাঝে বেশ কয়েকজনকে ভালুকা সরকারী হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের অপসারণ দাবিতে জেলা আ’লীগের সহসভাপতি ও স্বতন্ত্রী প্রার্থীর (ট্রাক প্রতীক) পক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (৩১) দুপুরে ভালুকা ওয়াহেদ টাওয়ারের তৃতীয়তলায় সম্মেলনটি করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইফতেখার আহমদ সুজন। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জাকির হোসেন শিবলীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) গোলাম মোস্তফা, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এজাদুল হক পারুল, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি সাদিকুর রহমান তালুকদার, যুবলীগ নেতা আমান উল্যাহ খান মাখন, আঞ্চলিক শ্রমিকলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম সরকার, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খোকন হোসেন ঢালী, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক এবিএম আসাদুজ্জামান সানা, পৌর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন পাঠান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম প্রমূখ। এসময় বক্তারা বলেন, প্রথম থেকেই একের পর এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর (ট্রাক প্রতীক) নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুণ, প্রচার মাইক ভাঙচুর, কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে আসছে প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতিকের লোকজন। একাধিকবার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করা হলেও তিনি রহস্যজনক নিরবতা পালন করছেন। এ সব ঘটনায় মডেল থানায় মামলাসহ একাধিক অভিযোগ দেয়া হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার ধলিয়া বাজারে ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুর ও কর্মীদের আহত করার ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইফতেখার আহমদ সুজন বাদি হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০০/১২০ জনের নামে মডেল থানায় মামলা (নম্বর-২৮,৩১/১২/২৩) দায়ের করেছেন। উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার ধলিয়া বাজারে জেলা স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদের (ট্রাকপ্রতীক) নির্বাচনী ক্যাম্পে প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম, ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মিয়া, যুবলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আজিজ, পরিবহন শ্রমিক লীগের সহসভাপতি মামুন ও সদস্য সোলাইমান, ইউনিয়ন কৃষক লীগের সদস্য জহিরুল ইসলাম এবং ট্রাক প্রতীকের কর্মী মাহাবুল আলম। ঘটনার সময় ট্রাক প্রতীকের কর্মী পলাশ মিয়ার ফার্মেসিতে হামলা চালিয়ে চেয়ার ভাঙচুর ও ক্যাশবাক্স থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়াসহ আহত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলমের প্রাডো প্রাইভেটকারটিও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। নৌকা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ পারভেজ জানান, তাদের ধীতপুর ইউনিয়ন কার্যালয়টি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় তাদের ২০ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।ভালুকা মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং আসামী গ্রেফতারে অভিযান চলছে।