সোহেল রানাঃ
যশোরের বেনাপোল থেকে আলোচিত অপহরণ হওয়া ওমর ফারুক ওরফে সুমন (২৬) হত্যার ঘটনায় ঢাকা থেকে তিনজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় একটি হায়েচ মাইক্রো জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার কোতয়ালী থানার শাখারী বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার আলিকুমড়া গ্রামের সুনিল চন্দ্র দাসের ছেলে ডালিম কুমার দাস (৩৩)এ/পি-হক ভিলা, ৪তলা, ৬নং কৈলাশ ঘোষ লেন, শাখারীবাজার, থানা-কোতয়ালী, ডিএমপি ঢাকা। কুমিল্লা জেলার দেবীদার উপজেলার রসুলপুর গ্রামের ঠাকুর দাস নিয়োগির ছেলে অঞ্জন নিয়োগি(৪৯), এপি-মিন্টু ধর এর বিল্ডিং, ৬তলা, ৪৩নং শাখারীবাজার, থানা-কোতয়ালী, ডিএমপি ঢাকা। পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বাশবাড়িয়া গ্রামের দৌলত মুন্সির ছেলে রিয়াজ (৩৮), এপি-আবুল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া, ৭তলার ৬বি, ফকিরাপুল, থানা-মতিঝিল, ডিএমপি, ঢাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের কামাল গং কর্তৃক বেনাপোল থেকে ওমর ফারুক ওরফে সুমন (২৬), পিতা-ওসমান গনি, সাং-টেংরালী, থানা-শার্শা, জেলা-যশোরকে অপহরণ পূর্বক হত্যার ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে মাঠে নামে ডিবি।
ডিবি’র (এসআই) মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে (এসআই) মফিজুল ইসলাম, পিপিএম, শামীম হোসেনদের সমন্বয়ে একটি চৌকশ টিম ঘটনাস্থলের আশে পাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও আসামীদের মোবাইল তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার সময় ঢাকার কোতয়ালী থানার শাখারী বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় জড়িত তিন জনকে সিসিটিভিতে প্রাপ্ত ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, স্বর্ণ চোরাকারবারীদের ২৫টি বার অনুমান ৩ কেজি স্বর্ণ খোয়া যাওয়ায় স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের কামাল গং ভিকটিম সুমনকে সন্দেহজনক আটক করে মারধর করে স্বর্ণ না পেয়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ মাগুরা সদর থানাধীন রামনগর এলাকায় ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপর ১২টার দিকে মাগুরা রামনগর থেকে ভিকটিম সুমনের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ওসি রুপণ কুমার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।