হলাপ্রু মারমাঃ
খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় আত্মীয় চাচাতো ভাই এর বাড়িতে বেড়াতে এসে অপহৃত হয়েছে মো: মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বিষয়টি পুলিশ জানলে অভিযানে উদ্ধার করে চক্রকারী একজনকে আটক করে দীঘিনালা থানা পুলিশ।
জানাগেছে, মো: মিজানুর রহমান দেশের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার বারহাটট্টা থানার আসমা ইউনিয়নের উজানগাঁও গ্রামের মৃত আঃ গফুর’র ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের নাজিরহাট ফটিকছড়ি ভান্ডারশরীফ এলাকায় এক মেম্বার বাড়িতে কৃষি কাজ করতেন।
অপহৃত মো: মিজানুর রহমান বলেন, আমার চাচাতো ভাই মো: নাজিম ফারুক দীঘিনালায় বাসা ভাড়া থেকে বালির কাটা লেবারি কাজ করে। মোবাইলে যোগাযোগ মাধ্যমে দীঘিনালায় বাসর্টামিনালে আসি। এতে চাচাতো ভাইকে মোবাইলে ফোনে কল দেই ফোন বন্ধ পাই। মোবাইল বন্ধ পেয়ে ভাবছিলাম আবার ফিরে যাব। এর মধ্যে আমাকে দেখে একলোক বলে কোথায় যাবে? আমি বলি চাচাতো ভাই এর কাছে আসছিলাম তার মোবাইল বন্ধ।
তাই ফিরে চলে যাব। লোক আমাকে ময়মসিংহের পরিচয় দেয় দেশি বলে, আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে খাওয়া পরে ঘুমিয়ে পরি। সকাল ৬টায় দোকানে চা নাস্তা করতে নিয়ে আসে। পরে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমার হাত পা চোখ মুখ বেঁধে ফেলে। আমার বাপ মা স্ত্রী কাছে মোবাইল করতে বলে ১০লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। পরে আমার বাবা মা স্ত্রী সাথে বলে অপহরণ কারীরা ৪ লাখ টাকায় রাজি হয়।
এক ভদ্রমহিলা আমাকে ভাত দিতে আসে তাকে বোন বলি আমাকে বাঁচান থানায় ফোন দেন।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে , গত শুক্রবার মোঃ মিজানুর রহমান দীঘিনালায় তার চাচাতো ভাই মোঃ ফারুকের বাসায় বেড়াতে আসার উদ্দেশ্যে গত ২৮ তারিখ ০৯.৪৫ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম হতে রওনা হয়ে বিকাল ০৪.৩০ ঘটিকায় দীঘিনালা বোয়ালখালী নতুন বাজার বাসস্ট্যান্ডে এস পৌঁছায় তার চাচাতো ভাই ফারুকের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন লোকজনের কাছে ফারুকের দেওয়া ঠিকানা খুঁজতে থাকেন ।
মো: সহিদুল হোসেন(৪০) এর সাথে তার পরিচয় হয় এবং সে ধর্মের ভাই বলে কৌশলে অপহরণ করে তার বাসায় নিয়ে যায়। এরপর রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে তার বসত ঘরের একটি কক্ষে তার সাথে ঘুমিয়ে পড়েন। ২৯ তারিখ সকাল ৭টায় সময় ঘুম ভাঙ্গার পর বাদী চট্টগ্রামে ফিরে যেতে চাইলে তাকে আটক মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মারধর করে জখম করে।
মোবাইলে তার মা ও তার স্ত্রী নাম্বারে কল দিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দীঘিনালা থানা পুলিশের অফিসার এসআই(নিঃ) মোঃ আবু সাইয়েদ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বোয়ালখালী ইউপিস্থ পশ্চিম কাঠালতলী এলাকার সুফিয়া বেগমের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ব্যাক্তিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। মোঃ রফিক (৩০) কে হাতেনাতে আটক করে এবং অন্য আসামীরা কৌশলে পালিয়ে যায়।
দীঘিনালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জাকারিয়া ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা অপহরনকারীকে দ্রুত উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনা স্থলথেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। অপহৃত মো মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৪নজনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪/৫ জন অজ্ঞাত রেখে থানায় অপহরন মামলা দায়ের করেছে।