মিঠু মুরাদ,পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের আদিতমারী ও কালীগঞ্জ উপজেলার অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিয়ে তাদের পাশে দাড়াতে চান আমেরিকা প্রবাসী আমিনুর ইসলাম। এ লক্ষ্যে তিনি দিয়েছে প্রতিশ্রুতি, করতে চান দ্রুত বাস্তবায়ন।
আমিনুর ইসলাম জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর মুসরত মদাতী এলাকার মৃত আলহাজ্ব আব্দুল হকের ছেলে। দীর্ঘদিন যাবত তিনি আমেরিকা বসবাস করে আসছেন।আমিনুর ইসলাম বলেন, আমেরিকার জীবন অনেক উন্নত এবং সুখের। উন্নত জীবন যাপন করলেও দেশের মানুষকে নিয়ে সবসময় চিন্তা করি। কিভাবে কালিগঞ্জ এবং আদিতমারী উপজেলার বেকার ভাই-বোন এবং অবহেলিত মানুষদেরকে সাহায্য করা যায়। তাদেরকে স্বনির্ভর ও প্রতিষ্ঠিত করে তাদের মুখে হাসি ফোঁটানো যায় সেই চিন্তা করি।
যার ফলে ২০০৮ সাল থেকে লালমনিহাটের প্রতিটা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে তিনি এই অবহেলিত জনপদে বেকার ও অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই কিছু করা জন্য। কিন্তু তারা কখনোই এ ব্যাপারে তাকে কোন সমাধানযোগ্য মানসিকতা প্রদর্শন না করে উল্টো এ ব্যাপারে সবসময় তাকে অনুৎসাহিত করেছে।
তারা নিরুৎসাহিত করলেও আমিনুর ইসলাম তার প্রচেষ্টাকে অব্যাহত রেখেছে। ইতিমধ্যে তিনি বেকারদের হাহাকার, তাদের দুঃখ কষ্টের ও অনুভূতি গুলো বিলবোর্ড এবং ব্যানারের মাধ্যমে প্রচার করে জেলার সকল মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছেন।
আমেরিকা প্রবাসী আমিনুর ইসলাম সকলের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতারা বেকার যুবক যুবতীদের জন্য টেকসই কিছু না করে উল্টো এদের জীবন নিয়ে তামাশা করছে। তারা নিজের আখের গোছানো ছাড়া কখনোই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবার জন্য কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। কিন্তু বেকার সমস্যা সমাধানে তাদের জন্য আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও এলাকার টেকসই উন্নয়ন ছাড়া কখনোই একটা জাতি উন্নত হতে পারেনা।
যার ফলে বেকার যুবক যুবতী ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর সুখের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ আইন সম্বলিত একটি হলফনামা প্রণয়ন করেন প্রবাসী আমিনুর ইসলাম। সেখানে উল্লেখ আছে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে বেকার যুবক যুবতীর জন্য চাকরি, ব্যবসা এবং উন্নত দেশে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবেন।
নির্বাচিত হবার ৯০ দিন পর হতে এ তিনটি বিষয়ের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন অর্থ ছাড়াই বেকার যুবক যুবতীদের জন্য একটি পদ প্রদান করা হবে। উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে বাংলাদেশের প্রতারণা আইন ৪২০ ও ৪০৬ অনুযায়ী আইনগত দন্ডনীয় হবেন এবং সংসদ পদ বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।এ সংক্রান্ত একটি হলফনামা ফর্ম কিছুদিনের মধ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে অথবা জনসভার মাধ্যমে উন্মুক্ত করা হবে।