ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর তৈলঘাটে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করে তীরে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩জনের মরদেহ ও পাঁচ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ই জুলাই) সকালে এটি নদীর তলদেশ দিয়ে টেনে তীরে আনা হয়। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ওয়াটার বাসটি টেনে তুললো বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ- পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম। এর আগে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’।
রবিবার (১৬ই জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদরঘাট শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তৈলঘাটে যাওয়ার পথে বুড়িগঙ্গা নদীর অংশে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ওয়াটার বাসটি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা উদ্ধার কাজে যোগ দেয়।
এ ঘটনায় এখনও ২০-২৫জন নিখোঁজ রয়েছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ওয়াটার বাসটি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। রবিবার (১৬ই জুলাই) দিনগত রাত ১টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক আরিফ হাসনাত গণমাধ্যমে জানান, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও নৌপরিবহন সচিব গোলাম মোস্তফা সার্বক্ষণিকভাবে উদ্ধার কাজের খোঁজখবর নিচ্ছেন।
এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফাসহ বিআইডব্লিউটিএ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজ তদারকি করছেন। এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার ও জীবিতদের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।